সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বে ক্রমশই বাড়ছে ইসলামোফোবিয়া বা ইসলামের প্রতি ভীতি। বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলিতে বাড়ছে এই প্রবণতা। সেই পথে হেঁটেই এবার সাতটি মসজিদ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল অস্ট্রিয়া। একই সঙ্গে বেশ কয়েকজন ইমামকেও দেশছাড়া করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সরকারের অভিযোগ, ওই মসজিদগুলি থেকে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানো হচ্ছে। জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত অভিযুক্ত ইমামরাও।
[রোহিঙ্গাদের ফেরাতে সময় লাগবে, বাংলাদেশের উদ্বেগ বাড়িয়ে জানাল মায়ানমার]
কয়েকদিন আগেই স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করে অস্ট্রিয়া। একটি সাংবাদিক সন্মেলনে সে দেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী গার্নট ব্লুমেল জানান, সাতটি মসজিদ বন্ধ করা হয়েছে। ওই মসজিদগুলি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত। এরমধ্যে ছ’টি আরব ও একটি তুরস্কের ধর্মীয় গোষ্ঠীরা চালায়। সেখানে উগ্র ইসলামের সালাফি পন্থার পাঠ দেওয়া হয়। অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সিবাস্তিয়ান ক্রুজ বলেন, “দেশে শরিয়ত আইন চালু করাই ওই মসজিদগুলির উদ্দেশ্য। একটি সমান্তরাল সরকার গড়তে চাইছে তারা। দেশে ইসলাম নিয়ে রাজনীতি ও সন্ত্রাসবাদের কোনও স্থান নেই।”
আকারে উত্তরপ্রদেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ অস্ট্রিয়া। জনসংখ্যা মাত্র ৮৭ লক্ষ। যার মধ্যে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা প্রায় ৬ লক্ষ। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই তুর্কি। সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ তারা। এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে তুরস্ক। অস্ট্রিয়ার সিদ্ধান্ত ইসলাম বিরোধী ও বর্ণবিদ্বেষী। টুইটারে এমনটাই লিখেছেন রাষ্ট্রপতি এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন।
উল্লেখ্য, ২০১৭-র ডিসেম্বরে অস্ট্রিয়ায় ক্ষমতা আসে পিপলস পার্টি ও ফ্রিডম পার্টির জোট সরকার। প্রচার পর্ব থেকেই দুটি দলই উগ্র ইসলামের বিরোধিতা করে এসেছে। তাঁদের বক্তব্য অস্ট্রিয়ার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য সংকটে পড়েছে মুসলিমদের জন্য। অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ারও বিরোধী তাঁরা। গত এপ্রিলেই দেশের প্রাথমিক স্কুলে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করেছিল এই সরকার। তারপরই এহেন পদক্ষেপে ফের উসকে দিয়েছে বিতর্ক। তবে এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন অনেকেই। তাঁদের অভিযোগ, সিরিয়া থেকে মুসলিম শরণার্থীরা আসার পর ইউরোপে অপরাধ বেড়েছে। তাই সরকারের উচিত দেশ থেকে উগ্র ইসলাম উৎখাত করা।
[তালিবানি নাশকতা থেকে বাঁচতে অনলাইন ব্যবসায় মন দিচ্ছেন আফগানরা]
The post জঙ্গিযোগে বন্ধ করা হল ৭টি মসজিদ, বিতাড়িত বেশ কয়েকজন ইমাম appeared first on Sangbad Pratidin.