সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে (Kashmir) ভয়াবহ তুষারধসে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। সোনমার্গের গান্দেরবাল জেলায় বিপজ্জনক তুষারধস নামে বৃহস্পতিবার। সেই সময় বরফ চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক শ্রমিকের। সেই সঙ্গে গুরুতর আহত হন আরেক ব্যক্তি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রবল ঠাণ্ডায় কাঁপছে কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় দু’বার তুষারধস নেমেছে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তুষারধসের ভয়াবহ ভিডিও।
বৃহস্পতিবার আচমকা তুষারধস (Avalanche) নামে সরবল এলাকায়। সেখানেই পাহাড়ের গায়ে টানেল তৈরির কাজ করছিল মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার নামে হায়দরাবাদের একটি সংস্থা। এই খবর পেয়েই পুলিশ ও সেনার উদ্যোগে দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু হয়। শামিল হয় রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ শুরু করে ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থাও। ঘটনাস্থলেই প্রস্তুত রাখা হয় অ্যাম্বুলেন্স।
[আরও পড়ুন: সেনা শিবিরেও ফাটল! যোশিমঠ থেকে নিরাপদ স্থানে সরছেন জওয়ানরা]
জানা গিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার এক কর্মী ধসে চাপা পড়েন। পরে তাঁর মৃতদেহ বের করে উদ্ধারকারী দল। বরফের স্তূপ থেকে আরও এক কর্মীর দেহ উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দু’বার তুষারধস নেমেছে ওই জায়গায়। এছাড়াও কাশ্মীরের উচ্চতম অংশগুলিতে দু’দিন ধরে টানা তুষারপাত হয়ে চলেছে। হিমাঙ্কের অনেক নীচেই ঘোরাফেরা করছে তাপমাত্রা।
কাশ্মীরের প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, এখন ওই অঞ্চলে ‘চিল্লাই কালান’ চলছে। ডিসেম্বরের ২১ তারিখ থেকে জানুয়ারির ৩০ তারিখ পর্যন্ত এই চিল্লাই কালান চলে। মূলত এই সময়েই কাশ্মীরে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়ে। সেই সঙ্গে তুষারপাতের সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে। জানা গিয়েছে, সোনমার্গ ছাড়াও গুলমার্গ, পহলগ্রামের একাধিক অঞ্চলে টানা তুষারপাত চলছে। তুষারধসে আরও কারোওর মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে কিনা, তা নিয়ে অবশ্য উদ্ধারকারী দলের তরফে কিছু জানানো হয়নি।