সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে বিরোধীদল বিএনপির বিরূপ মন্তব্যের পালটা দিলেন আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নয়াদিল্লির প্রতি আস্থা প্রকাশ করে তিনি স্পষ্ট জানান, সমস্ত পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।
গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) আমন্ত্রণে ভারতে পৌছন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিস্তা জট না কাটলেও অসমের কুশিয়ারা নদীর জলবণ্টন নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় দুই দেশের মধ্যে। কিন্তু এনিয়ে জলঘোলা করা শুরু করেছে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশ কিছুই পায়নি’ বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির। শেখ হাসিনা দেনা-দরবার করে সার্বভৌমত্ব বিক্রি করতে ভারতে গিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এদিন এই বিষয়ে পালটা দিলেন ওবায়দুল কাদের।
[আরও পড়ুন: ভারতের প্রশংসা করে বিপাকে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী, গদি খোয়াতে পারেন মোমেন]
নয়াদিল্লির প্রতি আস্থা প্রকাশ করে আওয়ামি লিগ সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, “বিএনপি সরকারের সময়ে খালেদা জিয়াতো বারবার ভারত যাননি, একবার সফরে গিয়েও আমাদের আসল কথা, গঙ্গার জল চুক্তির কথা বলতে পারেননি। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তো ভুলেই গেছিলাম’। যারা এ ধরনের সেনসিটিভ ইস্যুর কথা ভুলে যায় তাদের মুখে এসব কথা মানায় না।” কাদের আরও বলেন, “শেখ হাসিনা কিছু ভোলেন না। তিস্তা এবার হয়নি, কুশিয়ারা হয়েছে। সাতটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি হয়েছে। আমরা খালি হাতে ফিরে আসিনি। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যের কিছুটা স্বার্থের ব্যাপার আছে, সেটা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অগ্রগতি হচ্ছে। সংকট মোকাবিলার যা যা দরকার, যা যা আমরা চেয়েছি ভারত সবই দিয়েছে। কুশিয়ারা হয়েছে তিস্তাও হবে।”
উল্লেখ্য, গত সোমবার চারদিনের ভারত সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বৈঠকে অসমের কুশিয়ারা নদীর জলবণ্টন নিয়ে পাকাপাকি চুক্তি হয়েছে। ১৫৩ কিউসেক জল নেবে বাংলাদেশ। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি, মহাকাশ ক্ষেত্রে দুই দেশ একে অপরের হাত ধরে চলবে। এদিন হায়দরাবাদ হাউসে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের পর মোট ৭ টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রয়েছে রেল, সড়ক, বিদ্যুৎ-সহ আরও বেশ কয়েকটি চুক্তিও। বাংলাদেশকে আর্থিকভাবে এগিয়ে যেতে সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত।