সুকুমার সরকার, ঢাকা: গোঁজ প্রার্থীতেই ডুবলো ‘নৌকো’! গাজীপুর মেয়র নির্বাচনে হার আওয়ামি লিগের। নির্দল প্রার্থী জায়েদা খাতুনের কাছে প্রায় ১৩ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামি লিগের আজমতউল্লা খান।
সাধারণ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে সিটি কর্পোরেশনের ভোট শুরু হল গাজীপুরকে দিয়ে। তৃণমূল স্তরের এই নির্বাচন তাই হাসিনা সরকারের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রেক্ষাপটে রাজধানী ঢাকার অদূরে ভাওয়াল পরগনা (গাজীপুর) সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন নির্দল প্রার্থী তথা প্রাক্তন মেয়র জাহাঙ্গির আলমের মা জায়েদা খাতুন। আর প্রথম মহিলা মেয়র পেয়ে উল্লসিত নগরবাসী। বৃহস্পতিবার ফল ঘোষণার পর এলাকায় বিজয় মিছিল বের করেন জায়েদার কর্মী সমর্থকরা। উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা যায় তাদের।
নির্দল প্রার্থী জায়েদা খাতুন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাসকদল মনোনীত নৌকো প্রতীকের প্রার্থী আজমতউল্লাকে ১৩ হাজার ভোটে হারিয়েছেন। ৪৮০ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে জায়েদা খাতুন ঘড়ি প্রতীকে ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়েছেন। আর আজমতউল্লা খান নৌকো প্রতীকে পেয়েছেন ২ লক্ষ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। নির্বাচনে অংশ নেয়নি খালেদা জিয়ার দল বিএনপি।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মন পেতে এবার রোহিঙ্গা অস্ত্রে শান চিনের! নজর রাখছে দিল্লি]
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর জায়েদার পুত্র জাহাঙ্গির আলম বলেন, “এখানে নৌকোর পরাজয় হয়নি, ব্যক্তির পরাজয় হয়েছে। আমি জন্মের পর থেকেই আওয়ামি লিগ করি। আমি এখানকার আওয়ামি লিগের পরীক্ষিত ব্যক্তি। মানুষ আমার মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি ও আমার মা জায়েদা খাতুন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাব। আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে একটা সুন্দর শহর গড়ে তুলব।”
উল্লেখ্য, আওয়ামি লিগের মনোনয়ন না পেয়ে মা জায়েদা খাতুনকে প্রার্থী করেন ক্ষুব্ধ জাহাঙ্গির আলম। অবশ্য তিনি নিজেও প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু ঋণখেলাপির মামলায় জড়িত থাকায় তাঁর প্রার্থিতা শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়। পরে আওয়ামি লিগ থেকেও বহিষ্কৃত হন জাহাঙ্গির আলম।