সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার সকালে প্রয়াত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার সকালে ঢাকায় পৌঁছলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। ভারতীয় সময় সকাল ১১টা বেজে ৩০ মিনিটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে বাংলাদেশের বিমানঘাঁটি বাশারে নামেন জয়শংকর। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের সচিব এম ফারহাদ হোসেন। ঢাকা সফরের শুরুতেই খালেদাপুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করলেন জয়শংকর। তাঁর হাতে তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির 'শোকপত্র'।
ভোটমুখী বাংলাদেশে জয়শংকরের যাত্রাকে কূটনৈতিক ভাবেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সাম্প্রতিক বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দুহত্যা তথা সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছে জামাতের নেতৃত্বে, এর পিছনে যে পাকিস্তান ও চিনের উসকানি রয়েছে তা বুঝতে সময় লাগেনি সাউথ ব্লকের। তৈরি হয়েছে ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-র মতো ভারতবিরোধী সংগঠনও। আর তাই আপাতত সাবধানী হয়েও বিএনপির দিকেই সামান্য ঝুঁকে থাকছে নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে জয়ংশকরের বাংলাদেশ সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শোকবার্তায় তিনি জানান, ‘বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণের খবরে গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শোকপ্রকাশ এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় জয়শংকরের যোগ দেওয়া উভয় ঘটনাই দিল্লির কূটনৈতিক প্রক্রিয়া। পাশাপাশি আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের দিকেও তাকিয়ে আছে দিল্লি। কারণ মৌলবাদী জামাতের দৌরাত্ম্য কমাতে বিএনপি ভরসা।
