সুকুমার সরকার, ঢাকা: ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করার পর আজ, রবিবার সকাল ১০টা থেকে শুধুমাত্র দলের মনোনীতদের হাতে প্রত্যায়নের চিঠি তুলে দিচ্ছে শাসকদল আওয়ামি লিগ। দর কষাকষি চলছে জাতীয় পার্টি-সহ অন্য শরিকদের সঙ্গে। ফয়সলা হলেই তাদের জন্য আসন ঘোষণা করা হবে। এদিন রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের প্রার্থীদের হাতে মনোনয়নপত্র তুলে দেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
[স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মের মুখোমুখি শেখ হাসিনা]
বিশিষ্টদের মধ্যে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (গোপালগঞ্জ-৩ ও রংপুর-৬), সাধারণ সম্পাদক ও সেতু-পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫),বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তাজাকে (নড়াইল-২), সাদেক খান (ঢাকা-১৩)। ওই কেন্দ্রে আগে প্রার্থী ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গির কবির নানক। প্রাক্তন ছাত্রলিগ ও শেখ হাসিনার সহকারি সচিব সইফুজ্জামান শেখর (মাগুরা-১), দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ডা. দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম (গোপালগঞ্জ-২), অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রাজ্জাক (টাঙ্গাইল-১), দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ (কুষ্টিয়া-৩), রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক (কুমিল্লা-১১), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (ঢাকা-১২), আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪), ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি (গাজীপুর-৪), শেখ আফিলউদ্দিন পেয়েছেন (যশোর-১) আসন থেকে।
[মনোনয়ন পত্র তুলতে এসে ‘খুন’ বিএনপি নেতা]
চিঠি দেওয়া উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এদিন ছিল উৎসবের মেজাজ। যাঁরা চিঠি পাচ্ছেন তাঁদের সমর্থক ও নেতা-কর্মীরা তাঁদের পক্ষে স্লোগান দেন। বিএনপিবিহীন দশম সংসদ নির্বাচন এইচ এম এরশাদের দল জাতীয় পার্টি সমঝোতার ভিত্তিতে আলাদাভাবে অংশ নিলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামি লিগের সঙ্গে জোট বেঁধেই অংশ নিয়েছিল। ২০০৮ সালে ২৭টি আসন জয়ী জাতীয় পার্টির এখন সংসদে আসন ৩৪টি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামি লিগের কাছে অন্তত ৪০টি আসন জাতীয় পার্টি চেয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই দলের এক নেতা। আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক বলে আসছেন, সব মিলিয়ে শরিকদের ৬৫ থেকে ৭০টি আসন ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরে এই প্রত্যায়নপত্র যাঁরা জমা দেবেন, কেবল তাঁরাই নৌকা প্রতীকে প্রার্থী বিবেচিত হবেন। নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় দলীয় মনোনয়নের এই প্রত্যায়নপত্রও জমা দিতে হবে।
[জামাতের সঙ্গে কোনও আপস নয়, স্পষ্ট বার্তা ভারতের]
The post আসন বণ্টন নিয়ে শরিকদের সঙ্গে দর কষাকষি আওয়ামি লিগের appeared first on Sangbad Pratidin.