সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক’দিন বাদেই দিল্লির বাড়ি ছাড়তে হবে। তার আগে বিকল্প ‘আশ্রয়ে’র সন্ধান পেয়ে গেলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এবার রাহুলকে অযোধ্যার পবিত্র হনুমানগড়ি মন্দিরে বসবাস করার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন ওই মন্দিরেরই মোহন্ত সঞ্জয় দাস।
সঞ্জয় দাস (Sanjay Das) হনুমানগড়ির প্রধান পুরোহিত মোহন্ত জ্ঞান দাসের উত্তরসূরি। সংকটমোচন সেনার জাতীয় সভাপতিও এই মোহন্ত সঞ্জয় দাসই। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,”অযোধ্যার মোহন্তদের তরফে আমরা রাহুল গান্ধীকে স্বাগত জানাচ্ছি। উনি এখানে এসে প্রার্থনা করলে করতেই পারেন। শুধু তাই নয়, এখানে অনেক আশ্রম আছে। রাহুল গান্ধী চাইলেই কোনও আশ্রমে এসে থাকতে পারেন। আমরা খুশিই হব।”
[আরও পড়ুন: রিষড়ায় নতুন করে অশান্তি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু, রাজ্যের রিপোর্ট চাইল আদালত]
এর আগে ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীনও রাহুল পাশে পেয়েছিলেন অযোধ্যার আরেক মোহন্তকে। অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস রাহুলের যাত্রার শুভকামনা করে চিঠি লিখেছিলেন। যাত্রার সাফল্য কামনা ছাড়াও ‘ভারতের একতা’র মতো ‘মহৎ উদ্দেশ্যে’ যাত্রা করায় কংগ্রেস (Congress) শীর্ষ নেতার ভূয়ষী প্রশংসা করেন তিনি। যোগীর গড় থেকে লাগাতার যেভাবে রাহুল সমর্থন পাচ্ছেন, সেটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
[আরও পড়ুন: পথেঘাটে ঋতুস্রাবে এবার চিন্তা নেই, ‘মনিকা’ সেন্টারে মিলবে স্যানিটারি প্যাড, উদ্যোগী পুরসভা]
উল্লেখ্য, মানহানির মামলায় সাজা পেয়ে সাংসদ পদ হারানোয় দিল্লির সরকারি বাংলো থেকে বেরিয়ে যেতে হবে রাহুল গান্ধীকে। গত সপ্তাহে রাহুলকে লোকসভার সচিবালয় থেকে নোটিস পাঠিয়ে জানানো হয়, সাংসদ হিসেবে তিনি যে সরকারি বাংলোয় থাকছেন, সেই ১২, তুঘলক লেনের বাড়ি ২২ এপ্রিলের মধ্যে খালি করতে হবে। রাহুল গান্ধীও জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই বাংলো খালি করে দেবেন।