সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার নিউ অর্লিন্স শহরে জঙ্গি হামলায় মৃত হয়েছে ১৫ জনের। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিউ অর্লিন্সের ঘটনাকে "কাপুরুষচিত জঙ্গি হামলা" বললেন মোদি।
এদিন 'বন্ধু' ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় টুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি লেখেন, "নিউ অর্লিন্সের কাপুরুষচিত জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানাই আমরা।ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের পাশে আছি। প্রার্থনা করি তারা যেন দ্রুত এই বিপর্যয় থেকে উদ্ধারের শক্তি ও সান্ত্বনা পান।"
উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে নিউ অর্লিন্সের বোরবন স্ট্রিটে বর্ষবরণের আনন্দে মেতে উঠেছিলেন সকলে। স্থানীয় পুলিশ জানায়, এদিন ভিড়ের মধ্যে একটি ট্রাক হঠাৎই ঢুকে পড়ে। রাস্তায় বহু মানুষকে পিষে দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। অনেকে এদিক-ওদিক ছিটকে পড়েন। গুলিও চলে। কিন্তু পালাতে পারেনি হামলাকারী। ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তার। ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসে পরিচয়। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানায়, হামলাকারীর নাম শামসুদ্দিন জাব্বার। ২০০৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মার্কিন সেনায় কাজ করেছে সে। ২০০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানেও মোতায়েন ছিল।
এই হামলায় ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। সেখানে তাঁর দাবি, ‘শামসুদ্দিন জাব্বারের জন্ম আমেরিকায়, আইটি স্পেশালিস্ট। খ্রিস্টান থেকে মুসলমান হয়েছিলেন। সেনায় যোগ দেওয়ার পর আফগানিস্তানে ডিউটি করেছিলেন। আফগানিস্তানই কি তাঁর মাথা বিগড়ে দিয়েছে? তাও মনে হয় না। তাহলে কী হয়েছিল যে তাঁকে জঙ্গি হতে হল? বছর খানিক হল তিনি মুসলিম এলাকায় ঘর নিয়েছিলেন, সারাদিন ধর্মে বুঁদ হয়ে থাকতেন, পাড়ার মসজিদে অতিরিক্ত যাতায়াত করতেন।’ এখানেই মনে করা হচ্ছে, ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা জাব্বারের মগজধোলাই করেছে। ধীরে ধীরে এই প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্মী হয়ে ওঠেন আইএসের ‘লোন উলফ’!
কিন্তু কী এই ‘লোন উলফ’? এর মানে একাকী শিকারি। এই পদ্ধতিতে কোনও ব্যক্তি বিশেষকে মগজধোলাই করে একা আত্মঘাতী হামলা চালাতে উৎসাহী করে তোলা হয়। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির সরাসরি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে কোনও যোগ থাকে না। ইন্টারনেট বা জেহাদি বইপত্রের মাধ্যমে তার মধ্যে পরোক্ষে ধর্মীয় উন্মাদনা জাগিয়ে তোলা হয়। বিশ্লেষকদের মতে, লোন উলফ হামলাকারীকে খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। সূত্রের খবর, বড়সড় নাশকতা ঘটানোর পর বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার ছক ছিল আব্বাসের। ফলে তার ‘শিষ্য’রা জঙ্গি কার্যকলাপে ধরা পড়লেও সংগঠনের ‘উঁচুস্তরে’র নেতাদের গায়ে কোনও আঁচ লাগত না। শুধু তাই নয়, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে অন্যান্য প্রমাণ লোপাট করার ছকও ছিল।