সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কীর্তিমান আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক (Doctor)! চিকিৎসায় হাতযশ হয়নি। তাই আয় বাড়াতে গ্যাসের এজেন্সি চালু করেছিলেন। কিন্তু বিধি বাম। প্রতারণার ফাঁদে পরে লক্ষাধিক টাকা গচ্ছা গিয়েছিল তার। সেই টাকা উশুল করতে নকল গ্যাসে এজেন্সি ফেঁদে বসেছিল সে। আর সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল মানুষ মারার খেলা। এখনও পর্যন্ত শতাধিক খুন করে ফেলেছে উত্তেরপ্রদেশের ওই চিকিৎসক। নিজেই হিসেব রহাখতে পারেনি। তাই পুলিশি জেরায় অকপট স্বীকারোক্তি, পঞ্চাশটা খুন করার পর আর হিসেব রাখিনি! আর লাশ লোপাটের কায়দাটা আরও হাড়হিম করা। মৃতদেহ গায়েব করতে নদীতে ভাসিয়ে দিত, আর কুমীরে খুবলে খেত সেই দেহ।
অভিযুক্তের নাম দেবেন্দ্র শর্মা পেশায় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। দিল্লির বাপরোলা এলাকার বাসিন্দা। ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিসিপি রাকেশ পাওরিয়া জানান, ইন্সপেক্টর রাম মনোহরের দল তাকে পাকড়াও করে। ৬২ বছর বয়সী দেবেন্দ্র আলিগড়ের আদি বাসিন্দা। জেরায় দেবেন্দ্র জানায়, ১৯৮৪ সালে বিহারের সিওয়ান থেকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসারক ডিগ্রি অর্ঝন করেছিল। জয়পুরে জনতা হাসপাতাল নামে একটি ক্লিনিক খোলে। পরে ১৯৯৪ সালে গ্যাস সংস্থার ডিলারশিপ পেতে ১১ লক্ষ টাকা খরচ করে।কিন্তু সে প্রতারণার শিকার হয়। সেই টাকা উশুল করতে পরের বছরই দেবেন্দ্র আলিগড়ে একটি নকল গ্যাস সংস্থা চালু করে।
[আরও পড়ুন : ভারতীয় নাগরিকত্বের ভুয়ো নথি-সহ হায়দরাবাদে ধৃত রোহিঙ্গা শরণার্থী]
সেই ব্যবসায় গ্যাস সিলিন্ডার জোগার করতে সিলিন্ডার ভরতি ট্রাক চালকদের খুন করল। আর ট্রাকে থাকা সিলিন্ডার লুঠ করত সে। দেবেন্দ্রকে তখন নকল গ্যাস এজেন্সি চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জামিন পেয়ে ফের একটি নকল গ্যাস এজেন্সি শুরু করে সে। তখনও তাকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর জেল থেকে বেরিয়ে দেবেন্দ্র কিডনি পাচারকারী গ্যাং-এ যোগ দেয়। এবং জয়পুর, বল্লবগড় ও গুরুগ্রামে ১২৫ জনের কিডনি প্রতিস্থাপন করে।
এক একটি কিডনি প্রতিস্থাপনে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পেত দেবেন্দ্র। ২০০৪ সালে গুরুগ্রামের আনমোল নার্সিংহোমে অভিযান চালানো হলে তাকে ধরা হয়। সেই মামলায় দীর্ঘদিন জয়পুরের জেলে বন্দী ছিল। কিছুদিন আগে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিল সে। তারপর পালিয়ে ছিল সে।
[আরও পড়ুন : বানভাসি অসমে মৃত বেড়ে ১০৭, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৬ লক্ষের বেশি]
The post ১০০’রও বেশি খুন! প্রমাণ লোপাটে লাশ কুমিরকে খাওয়াত এই ‘গুণধর’ ডাক্তার appeared first on Sangbad Pratidin.