গৌতম ব্রহ্ম: প্রাচীনত্বের আধার থেকে ক্রমমুক্তির প্রক্রিয়া জারি। কোভিডযুদ্ধে সক্রিয় অংশীদারিত্ব লাভের পর এবার জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও আয়ুশের (AYUSH) পদার্পন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। পরিণামে এইমস থেকে শুরু করে নিমহানস, প্রথম সারির সব অত্যাধুনিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে মডার্ন মেডিসিনের হাত ধরে হাঁটবে সহস্র বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতি। কোন পদ্ধতিতে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য পরিষেবায় আয়ুর্বেদ-সহ অন্য আয়ুশ পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তাই নিয়ে দুই দপ্তরের চার মন্ত্রী বৈঠকও সেরে নিলেন। এই উদ্যোগ ঘিরে এটাই প্রথম সমন্বয় বৈঠক।
করোনা মোকাবিলায় (COVID-19 Treatment) কেন্দ্র আয়ুর্বেদে ভরসা রেখেছিল। তাতে ভাল ফল মিলেছে বলে বহুবার দাবি করেছে আয়ুশ মন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বহুবার ইমিউনিটি বাড়াতে আয়ুর্বেদের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এবার জনস্বার্থে জনস্বাস্থ্যে আয়ুশকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হল। এই ব্যাপারে দিল্লির নির্মাণভবনে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। যাতে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য এবং আয়ুশমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। ছিলেন দুই মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধান সচিব, যুগ্ম সচিব-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। সেখানেই জনস্বাস্থ্যের অন্তর্ভুক্ত রোগব্যাধিতে আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি প্রয়োগের ব্যাপারে আলোচনা হয়। ঠিক হয়েছে, অ্যালোপ্যাথির সঙ্গে আয়ুশ মন্ত্রকের অন্তর্ভুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতিও জনস্বাস্থ্যের উন্নতিতে কাজে লাগানো হবে। এর মধ্যে যেমন বাচ্চাদের কৃমির ওষুধ থাকতে পারে, তেমনই থাকতে পারে ইমিউনিটি বাড়ানোর পথ্যও।