সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯ সালে যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) উদ্দেশে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। অবশেষে সেই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন সমাজবাদী পার্টির বর্ষীয়ান ‘বাহুবলী’ নেতা আজম খান (Azam Khan)। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রামপুরের একটি আদালত তাঁকে তিন বছরের সাজা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকার জরিমানাও করা হয়েছে তাঁকে। তবে এরপর জামিনও পেয়ে গিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁকে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার জন্য ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ ছিল আজমের বিরুদ্ধে? ২০১৯ সালে যোগী আদিত্যনাথ ও তৎকালীন জেলাশাসক আইএএস আধিকারিক অঞ্জনেয়কুমার সিংয়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। যার রায় প্রকাশিত হল বৃহস্পতিবার। নিঃসন্দেহে এই রায়ে প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে হল টিম অখিলেশের অন্যতম সদস্যকে। এর ফলে বিধানসভার সদস্যপদ বাতিল হল তাঁর।
[আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেটে বেনজির, প্রথমবার সিলেবাস, মডেল প্রশ্নপত্র-সহ গাইডলাইন প্রকাশ পর্ষদের]
প্রসঙ্গত, যোগীকে ক্রিমিনাল বলে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল আজম খানকে। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আপনি ধর্মের তথাকথিত ধ্বজাধারী ও গোরক্ষনাথ মন্দিরের পুরোহিত। কিন্তু, তার পাশাপাশি আপনি একজন যাদব পুলিশকর্মীকে খুনও করেছেন।” এছাড়াও ওই সময় রাজস্থানের রাজ্যপাল কল্যাণ সিংকেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। সেই সময়ই রামপুরের চারজন প্রশাসনিক আধিকারিকের নামে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগেও মামলা দায়ের হয় তাঁর নামে।
আজম খান এর আগেও কারাবাস করেছেন। একটি প্রতারণার মামলায় জেলে যেতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু এই বছরের গোড়াতেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তী জামিন পান তিনি। প্রায় দুই বছর তিনি জেলে ছিলেন। অবশ্য কেবল এই দু’টি মামলাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে বহু মামলাই রয়েছে। যার মধ্যে দুর্নীতি থেকে চুরি, বাদ যায়নি কিছুই। সব মিলিয়ে ৯০টির বেশি মামলা রয়েছে আজম খানের বিরুদ্ধে। এমনকী, নির্বাচন কমিশন এমনকী রাষ্ট্রসংঘের বিরুদ্ধেও তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।