সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘরোয়া হিংসা শিকার হয়েছিলেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন (Azmeri Haque Badhon)। এতদিনে এ খবর প্রকাশ্যে এল। এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অভিনেত্রী জানান, বিয়ের পর তাঁর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল স্বামী। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল পড়াশোনাও।
দুই বাংলাতেই অভিনেত্রী হিসেবে আজমেরী হক বাঁধনের কদর রয়েছে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ সিরিজে তিনিই হয়েছিলেন মুসকান জাবেরি। আবার বলিউডে ডেবিউ করছেন বিশাল ভরদ্বাজের হাত ধরে। ‘খুফিয়া’ ছবিতে তাব্বুর মতো অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করেছেন বাঁধন। কিন্তু একদিন তাঁর জীবন ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। সেকথাই ওই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন করণ জোহর, বাঁচান মুকেশ আম্বানি! বিস্ফোরক দাবি KRK-র]
বাঁধন জানান, প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছিল। তাঁকে বন্ধুদের সঙ্গেও মিশতে দেওয়া হত না। এমনকী স্বামী জোর করে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিল। একটা সময় অভিনেত্রী এই সমস্ত কিছু মেনে নিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন এটাই হয়তো তাঁর ভবিতব্য। এই সমস্যা সমাধানের উপায় হিসেবে অনেকেই অভিনেত্রীকে সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাতে লাভ বিশেষ হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে নিজের থেকে কুড়ি বছরের বড় মোশরুর হোসেন সিদ্দিকি সনেটকে বিয়ে করেছিলেন বাঁধন। ২০১৪ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। কেন এত বড় বয়সের মানুষকে বিয়ে করেছিলেন? এই প্রশ্নেরও মুখোমুখি হতে হয়েছিল বাঁধনকে। অভিনেত্রী সেই সময় জানিয়েছিলেন টাকার জন্য তিনি বিয়েটা করেননি। করেছিলেন সুখে সংসার করার জন্য। কিন্তু নিজের এই বিয়েকে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছিলেন বাংলাদেশি নায়িকা। এখন মেয়েকে নিয়ে ভাল আছেন তিনি। বিচ্ছেদের পর নিজের পড়াশোনা শেষ করেছিলেন। তারপর অভিনেত্রী হিসেবে সফর শুরু করেন। তাঁর অভিনীত ছবি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ প্রথম বাংলাদেশি সিনেমা হিসেবে কান চলচ্চিত্র উৎসবে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হয়েছিল।