সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনিই বলেছিলেন করোনা টিকা (COVID vaccine) নেওয়ার কোনও দরকার নেই তাঁর। যোগাসন ও আয়ুর্বেদই তাঁর সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট। নিজের সেই অবস্থান থেকে কার্যত ১৮০ ডিগ্রি সরে এসে যোগগুরু বাবা রামদেব (Baba Ramdev) এবার জানিয়ে দিলেন, শিগগিরি টিকা নেবেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, ডাক্তারদের ‘ভগবানের দূত’ বলেও অভিহিত করলেন রামদেব। গত বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ছিলেন বিতর্কের কেন্দ্রে। যার সূত্রপাতই হয়েছিল অ্যালোপ্যাথি (Allopathy) নিয়ে কটাক্ষ করার পরে। এবার একেবারেই ভিন্ন সুর রামদেবের গলায়।
বৃহস্পতিবার হরিদ্বারে যোগগুরু বলেন, ‘‘আপনারা ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নিয়ে নিন। সেই সঙ্গে যোগ ও আয়ুর্বেদের জোড়া সুরক্ষাতেও থাকুন। এর ফলে আপনারা সুরক্ষার এমন এক বলয়ের মধ্যে থাকবেন কারওকে আর করোনায় মরতে হবে না।’’ ২১ জুন থেকে দেশজুড়ে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেই পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়েছেন রামদেব।
এরপরই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কবে করোনা টিকা নেবেন। এর উত্তরেই রামদেব জানিয়ে দেন, ‘‘খুব শিগগিরি।’’ পরে তিনি অ্যালোপ্যাথি ডাক্তারদের প্রশংসা করে তাঁদের ‘‘পৃথিবীতে ঈশ্বর প্রেরিত দূত’’ বলে জানিয়ে দেন।
[আরও পড়ুন: ‘দাড়ি নয়, দেশে কর্মসংস্থান বাড়ান’, প্রধানমন্ত্রীকে নাপিত খরচের টাকা পাঠিয়ে আরজি চাওয়ালার]
এবিষয়ে ঠিক কী জানিয়েছেন রামদেব? আসলে IMA ও তাঁর মধ্যে চলতে থাকা সংঘাত নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরেই একথা বলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি কোনও সংস্থারই বিরুদ্ধে নই। চিকিৎসকরা সত্যিকারের দেবদূত। পৃথিবীতে ঈশ্বর প্রেরিত দূত তাঁরা। কিন্তু কোনও কোনও ডাক্তার ব্যক্তিগত ভাবে ভুল কাজ করতেই পারেন।’’ এরপরই তিনি মেনেও নেন, ‘‘জরুরি অবস্থায় চিকিৎসা ও শল্য চিকিৎসায় অ্যালোপ্যাথিই সেরা। এই নিয়ে কোনও দ্বিমত থাকতে পারে না।’’
যদিও এর আগে একেবারেই অন্য সুরে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল যোগগুরুকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল রামদেব বলছেন,‘‘অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা আসলে বোকামি। চিকিৎসার নামে তামাশা চলে। লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে শুধুমাত্র অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়ে।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, অ্যালোপ্যাথি যদি এতই ভাল হবে, তাহলে চিকিৎসকরা অসুস্থ হন কেন। অ্যালোপ্যাথি ২০০ বছরেও বহু রোগের ওষুধ তৈরি করতে পারেনি কেন? এমন সব মন্তব্য ঘিরে যখন বিতর্ক চরমে, বিষয়টা গড়িয়ে গিয়েছে আদালত পর্যন্ত তখনই কার্যত ‘ভোলবদল’ করলেন বাবা রামদেব।