সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সতীদাহ প্রথার বিলোপ করেছিলেন বিদ্যাসাগর’, বাবুল সুপ্রিয়র বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে অস্বস্তিতে বিজেপি। আর এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজের ভুল স্বীকার করে নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু তা করতে গিয়েও চূড়ান্ত রসিকতার আশ্রয় নিলেন তিনি। রামমোহন রায়ের মতো একজন সমাজ সংস্কারকে নিয়ে আদৌ রসিকতা করা যায় কি, সেই প্রশ্নই তুলছেন অনেকেই।
[আরও পড়ুন: হায় ঈশ্বর! সতীদাহ প্রথার বিলুপ্তি ঘটান বিদ্যাসাগর, বললেন বাবুল]
বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘খোলা হাওয়া’ নামে একটি সংগঠন চালু করে বিজেপি। ওই অনুষ্ঠানেই ছিলেন আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাতেই তিনি বলেন, “সতীদাহ প্রথার বিলোপ, বিধবা বিবাহ চালু করেছিলেন বিদ্যাসাগর। তাঁর জন্মদিনে একটা সংগঠন শুরু হচ্ছে, এটা অনেক বড় ব্যাপার।” একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কীভাবে সকলের সামনে জোর গলায় ভুল তথ্য দিতে পারেন, তা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। সমালোচনার সুর ওঠে চতুর্দিকে। এই ভুল মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নেটদুনিয়ায় একাধিক মিমও ছড়িয়ে পড়ে। বাবুলের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে গেরুয়া শিবির।
তাই এই মন্তব্যের কয়েকঘণ্টা পরেই নিজের ভুল স্বীকার করে নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। টুইটার এবং ফেসবুকে পোস্ট করেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি লেখেন,”সত্যি আজ একটা ভুল করেছি। বিদ্যাসাগর নিয়ে বলার সময় বিধবা বিবাহ তো বলেছি তবে তার সাথে সতীদাহ প্রথার অবলুপ্তিটাও জুড়ে দিয়েছি। অসতর্কভাবে ভুল করেছি। কিন্তু এবার কি হবে বলুন তো!! আমি কি বাঁচার অথবা নিঃশ্বাস নেওয়ার অধিকার হারিয়ে ফেললাম? কত মানুষ কত কিছু লিখেছে, বিশেষ করে বাম-ইয়েরা! যদিও রাজা রামমোহন রায় অলরেডি আমাকে মাফ করে দিয়ে হাসিমুখে এসএমএস করেছেন। আপনারাও করে ফেলুন বলতে খুব ইচ্ছে করছে কিন্তু পারবেন কি? তবে আর যাই করি না কেন কোনও মানুষের ক্ষতি তো করিনা – বৃষ্টির দিনে চা-তেলেভাজার সাথে আলোচনা করার মতো টপিক তো পেলেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এনআরসি-র ফুল ফর্ম জিজ্ঞেস করার সাথে এটার কিন্তু কোনও সম্পর্ক নেই।”
[আরও পড়ুন: ‘প্রতিবন্ধি’! মেট্রোর গায়ে বানান সংশোধনের দাবি সর্বস্তরে]
রসিকতায় ভরা এহেন ভুল স্বীকার নিয়ে চারিদিকে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। রামমোহন রায়ের মতো একজন সমাজ সংস্কারককে নিয়ে রসিকতা করা ঠিক কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। আলটপকা মন্তব্যের নিরিখে এক্কেবারে প্রথম সারিতে রয়েছেন বিজেপি নেতারা। দিনকয়েক আগে বিদ্যাসাগরকে ‘সহজপাঠ’-এর রচয়িতা বানিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার সেই তালিকাতেই নবতম সংযোজন বাবুল সুপ্রিয়।
The post ‘এসএমএস করে মাফ করেছেন রামমোহন রায়’, রসিকতা বাবুলের appeared first on Sangbad Pratidin.