নিরুফা খাতুন: অভিষেকের নামে তোলাবাজি কাণ্ডে তদন্তে তৎপর কলকাতা পুলিশ। কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-কে তলব। শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ ই-মেলের মাধ্যমে তলব করেছে তাঁকে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে ফোন করে বলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে ফোন করা হচ্ছে। বলা হয়, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একাধিক জায়গা থেকে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। যে কোনও মুহূর্তে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। তাঁর আরও দাবি, যদি ৫ লক্ষ টাকা দেন, তাহলে পুলিশি ধরপাকড় থেকে মুক্তি পাবেন বলে ফোনে বলা হয়েছিল। যে মোবাইল নম্বর দিয়ে ফোন করা হয়েছিল সেটির লোকেশন ট্র্যাক করে দেখা যায়, হুগলি থেকে ফোনটি এসেছিল। পাল্টা চেয়ারম্যানকে দিয়ে প্রতারকদের টোপ দেয় পুলিশ। যে নম্বরে ফোন এসেছিল সেই নম্বরে চেয়ারম্যান ফোন করে তাদের দাবিমতো টাকা দিতে রাজি বলে জানিয়ে এমএলএ হস্টেলে ডাকেন ওই প্রতারকদের। এমএলএ হস্টেলে বিজেপি বিধায়ককে দিয়েই ইমরান শেখ নামে এক যুবক ঘর বুকিং করেছিল। কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র ঘরটি বুক করা হয়েছিল।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিধানসভাপ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একজন বিজেপি বিধায়কের সুপারিশেই ঘর দেওয়া হয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। এমএলএ হস্টেলের অফিসিয়াল রেকর্ড থেকে তা জানানো হয়েছে। যাঁকে ঘর দেওয়া হয়েছিল তাঁর নাম, আধার কার্ড নম্বর সব রেকর্ড করা হয়েছে। আমাদের নিরাপত্তার দিক থেকে যতটুকু নেওয়ার আমরা নিই। কিন্তু এটা জানা থাকে না যে কার সুপারিশে কে ভিতরে ঢুকছেন। কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ভিতরে ঢুকে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নেব।” এরপরই বিজেপি বিধায়কের সুপারিশ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্পিকার বলেন, “আগে জানি তাঁর চিঠি, সুপারিশের বিষয়গুলি। সব দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেব।” এরপর পুলিশি তলবের মুখে কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক।