সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের বাজারে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। নিজের কালীঘাটের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ২৯১ কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকার নাম ঘোষণা করেছেন। আর সেখানেই জানিয়েছেন এবার আর ভবানীপুর থেকে নয়, তিনি লড়বেন নন্দীগ্রাম থেকে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই তোপ দাগতে আসরে নেমেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriya) টুইট করে লিখেছেন, “বাংলা নিজের মেয়েকে চায় তো দূরের কথা, ভবানীপুরই আর নিজের মেয়েকে চায় না। লড়লে হেরে যাবেন, এটা আঁচ করতে পেরে মাননীয়া দিদি নিজের জায়গাতেই লড়ার সাহস দেখাতে পারলেন না।”
[আরও পড়ুন: ৭ মার্চ মোদির ব্রিগেডের পরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা বিজেপির]
অন্যদিকে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই সাংবাদিক সম্মেলেনে মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, ” তৃণমূলের কোনও এজেন্ডা নেই। জনগণকে উন্নয়নের রাস্তা দেখাতে পারছেনা তৃণমূল। রাজ্যের ৫ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ। কর্মসংস্থান নেই, শিল্প নেই। অর্থনীতি তলানিতে। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই শাসক দল নানা কাজ করছেন।”
এরপরেই শমীক ভট্টাচার্য টেনে এনেছেন মুখ্যমন্ত্রীর বিধান পরিষদ তৈরির প্রসঙ্গও। তিনি বলেছেন, “হাই কোর্টের হস্তক্ষেপে নির্দিষ্ট যুক্তি মেনে বিধান পরিষদ উঠে গিয়েছে। এই নিয়ে এর আগে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। তাদের ক্ষেত্র কী, এক্তিয়ার কী, সেই সব নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পরবর্তী সময়ে হাই কোর্টের হস্তক্ষেপে পরিষদীয় সচিবের পদ বাতিল করা হয়েছিল।” এরপর মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে বিধান পরিষদ গঠনের কথা বলেন? এই প্রশ্ন তুলেছেন শমীক ভট্টাচার্য। তারপর তিনি ব্যঙ্গ করে বলেছেন, তৃণমূলের প্রার্থীপদ থেকে যাঁরা বাদ পড়েছেন, তাঁদের আশ্বস্ত করতে এই ঘোষণা কিনা – তা ভেবে দেখা উচিত। সব মিলিয়ে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।