জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরপন্থী মতুয়াদের হেনস্তার পর পেরিয়েছে চারদিন। এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন মাত্র একজন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবিতে নিশান হাতে গাইঘাটা থানার সামনে বিক্ষোভে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সদস্যরা। ৫ জানুয়ারি রাজ্যজুড়ে পথ অবরোধের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। এসআইআর-এ ১ লক্ষ মতুয়ার নাম বাদ যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বনগাঁর সংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তাঁর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে গাইঘাটার ঠাকুরবাড়িতে প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছিলেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহা সংঘের আরেক সংঘাধিপতি তথা তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। সেখানেই শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর দলবলের হাতে গোঁসাই-পাগলদের মার খেতে হয় বলে অভিযোগ। গোঁসাই পরিষদের সম্পাদক নান্টু হালদারকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সেই ঘটনায় মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছিল থানায়। গাইঘাটা থানার পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
কেন মাত্র একজনকে গ্রেপ্তার, স্বাভাবিকভাবেই সেই প্রশ্ন ওঠে। ঠাকুরনগরে এদিন মমতাবালা ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ একটি জরুরি বৈঠক করে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে এই আক্রমণ-হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরকে অসম্মান মেনে নেওয়া হবে না। এর প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে পথ অবরোধ করবেন মমতাবালাপন্থী মতুয়ারা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুকেশ চৌধুরী জানিয়েছেন, ৫ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে রাজ্যে নানা প্রান্তে মতুয়ারা পথ অবরোধ করবেন। তাঁর কথায়, "একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। ১২ জন বহালত তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওরা আমাদের ভয় দেখাচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে। এর প্রতিবাদে ও বাকি ১২ জনের গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরা এই অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেছি। যতক্ষণ গ্রেফতার না হবে আমাদের আন্দোলন চলবে।" এ প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর পরিচালিত মতুয়া মহাসংঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন গাইন বলেন, "ওরা অবরোধ কর্মসূচি করতেই পারে কিন্তু সেদিন মতয়ারা বুঝিয়ে দেবেন যে তারা ওদের সঙ্গে নেই।"
