সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্জুনগড়ে শুভেন্দু অধিকারী আসবেন। খবরটা শোনার পর থেকেই চেগে উঠেছিল খড়দহ, টিটাগড় ও ব্যারাকপুরের গেরুয়া শিবির। মিছিলের আয়োজক বিজেপির যুব মোর্চা (BJYM)’র নেতাদের লক্ষ্য ছিল ২৫ হাজার মানুষকে জমায়েত করার। কিন্তু, বেলা বাড়তে বদলে গেলে সেই ছবিটা। বেশ কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল বিটি রোডের বিস্তীর্ণ এলাকা। আর অসংখ্য কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তাতে দাপিয়ে বেড়ালেন সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী, স্থানীয় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং মুকুলুপুত্র শুভ্রাংশু রায়রা।
কয়েকমাস আগে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার মৃত্যুর পর এই ধরনের জনস্রোত দেখা গিয়েছিল খড়দহে। তারপর মঙ্গলবারের মিছিল তৈরি করল নতুন নজির। সকালে নন্দীগ্রামে সভা করার পর সোজা উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে পৌঁছে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। অন্যদিকে বাইকের পিছনে অর্জুন সিংকে বসিয়ে মিছিল শুরু করতে দেখা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে। অন্য একটি বাইক নিয়ে তাঁদের সঙ্গ নিয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁও। পরে এই ত্রয়ীকে দেখা গেল ট্যাবলোতে শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে মিছিলে যেতে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মুকুল রায়ের ছেলে ও বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ও। গেরুয়া শিবিরের এত নেতাদের ভিড়ে মাঝেমধ্যেই অবশ্য নজর কেড়ে নিচ্ছিলেন গদা হাতে থাকা অর্জুন সিং। আসলে নিজের গড়ে এত মানুষের মিছিল দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন তিনিও। মানুষের ভিড় দেখে খুশির হাসি দেখা গিয়েছে মিছিলে থাকা ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের মুখেও। আসলে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়ার পর এতবড় কর্মসূচি তাঁর এলাকায় হওয়ায় সফলতার বিষয়টি নিয়ে কিছুটা চিন্তায় ছিল! তবে বিকেলের পর থেকে সেই চিন্তা আর মাথাতেই আসেনি কারও।
[আরও পড়ুন: নমুনা পরীক্ষা বাড়তেই বাংলায় বাড়ল দৈনিক করোনা সংক্রমণ, বৃদ্ধি পেল মৃতের সংখ্যাও]
পরে এপ্রসঙ্গে বাবুল সুপ্রিয় টুইট করেন, “আজ বিজেপি যুব মোর্চার ডাকে টিটাগড় ও ব্যারাকপুরে পদযাত্রায় এত জনসমাগম দেখে আমি মুগ্ধ। টিএমসির চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার জন্য মানুষের এত উৎসাহ দেখে আমার মনে হচ্ছে, ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর’।”