সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও জ্বলছে বাগরি মার্কেট। প্রায় দু’দিন হয় গেল আগুন নেভার কোনও লক্ষণ নেই। ইতিমধ্যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। আর এসব নিয়েই সোমবার নবান্নে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল । হাজির ছিলেন পুরসভা, পুলিশ ও দমকলের আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, তাতে কার্যত কাঠগোড়ায় দাঁড়িয়েছে পুরসভা।
মন্ত্রিগোষ্ঠীর এই বৈঠকে বাগরি মার্কেটে আগুন লাগার একাধিক কারণ উঠে এসেছে। বৈঠকের মূল বক্তব্য একটাই। কাজে অত্যধিক ঢিলেমি রয়েছে পুরসভার। তার মধ্যে প্রথমেই উঠেছে ট্রেড লাইসেন্সের প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, বাগরি মার্কেটে যেসব ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেরই ট্রেড লাইসেন্স নেই। প্রশ্ন উঠছে, এই তথ্য কি পুরসভার কাছে ছিল না? আর যদি থেকে থাকে, তাহলে কোনও পদক্ষেপ কেন নেনয়ি তারা? মার্কেটে জলের কোনও পাম্প ছিল না। যে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে, তাতেও রয়েছে গাফিলতি। দমকল দপ্তর কী পর্যবেক্ষণ করেছে না? পুরসভাই বা কেন এসব কথা এতদিন জানায়নি?
[ ধর্মের বেড়াজাল ভেঙে সহাবস্থানের পাঠ শেখাচ্ছে ‘জ্বলন্ত’ বাগরি ]
অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে মার্কেটের টয়লেট বা সিঁড়িও লিজে দেওয়া হয়েছিল ব্যবসায়ীদের। মানুষের অতি জরুরি এই পরিষেবাগুলিও ব্যবসার হাত থেকে রেহাই পায়নি। অভিযোগের সবক’টি আঙুল উঠেছে মালিকপক্ষের দিকে। তবে মন্ত্রিগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। মালিক দোষী প্রমাণিত হলে গ্রেপ্তারের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। তবে সোমবার বৈঠক সম্পূর্ণ হয়নি। নবান্নে ফের বুধবার বসবে বৈঠক। সেদিনই হয়তো কোনও সমাধান সূত্র বের হবে।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে নবান্নে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট টিমে’র দায়িত্বে থাকা রাজ্য মন্ত্রিসভার ১১ জন সদস্য বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল৷ সেই মতোই হয় বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভা ও দমকলের আধিকারিকরা৷
[ জনবহুল এলাকায় মিষ্টি কারখানায় আগুন, ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা ]
The post নবান্নে বাগরি বৈঠক, মন্ত্রিগোষ্ঠীর নজরে পুরসভার ভূমিকা appeared first on Sangbad Pratidin.