অর্ণব আইচ: বাগুইআটি কাণ্ডে (Baguiati Twin Murder) গ্রেপ্তার আরও এক। মূল চক্রী সত্যেন্দ্র চৌধুরীর গ্রেপ্তারির আটদিনের মাথায় দুই মাধ্যমিক ছাত্রের হত্যাকারী অর্থাৎ ‘সুপারি কিলার’ গ্রেপ্তার করল সিআইডি। ধৃতের নাম কানহাইয়া কুমার।
সতেন্দ্রর সঙ্গীকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি (CID)। সূত্রের খবর, বাসন্তী হাইওয়েতে গাড়িতে বাগুইআটির দুই ছাত্রকে খুন করেছিল ধৃত কানহাইয়া কুমারই। দিল্লির নিম্ন আদালতে পেশ করে ধৃতকে রিমান্ড ট্রানজিশনে কলকাতায় আনার আবেদন জানাবে তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: ওষুধে অনিয়ম, বারবার ভেঙেছে ঘুম! সিবিআই হেফাজতে কেমন কাটল পার্থর প্রথম রাত?]
প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত ২২ আগস্ট। ওই দিনই পিসতুতো ভাই অভিষেক নস্করকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবেশী জামাইবাবু সত্যেন্দ্রর সঙ্গে বেরিয়েছিল অতনু দে। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি দুই কিশোর। স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু লাভ হয়নি। এরপরই ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ যায় অতনুর বাবার কাছে। ২৪ তারিখ পুলিশের দ্বারস্থ হন অতনুর বাবা। ১৪ দিন পর অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর উদ্ধার হয় ২ কিশোরের দেহ।
এই ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে হত্যারহস্যের তদন্তভার পায় সিআইডি। হত্যাকারীর খোঁজে কোমর বেঁধে নামে তদন্তকারীরা। গত ৯ সেপ্টেম্বর হাওড়া স্টেশন থেকে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। এর আটদিনের মাথায় হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করল রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা।
[আরও পড়ুন: Pushpanjali #ChantBangla: বাংলাতেই দেব পুষ্পাঞ্জলি, অঙ্গীকার করুক বাঙালিরা]
২ স্কুল ছাত্র খুনের ঘটনায় উত্তাল হয় বাগুইআটি। কিন্তু অভিযুক্তের হদিশ মিলছিল না। তাকে খুঁজে পেতে রাজ্যজুড়ে তল্লাশি শুরু করে বিধাননগর কমিশনারেট ও সিআইডি। গোপন সূত্র মারফত তদন্তকারীরা জানতে পারেন, শুক্রবার সকালে হাওড়া স্টেশনে আসবে সত্যেন্দ্র। সেই মতো নজরদারি চালায় পুলিশ। হাওড়া স্টেশনে পা দেওয়া মাত্রই সত্যেন্দ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্রের খবর, আদতে বিহারের বাসিন্দা সত্যেন্দ্রর পরিকল্পনা ছিল হাওড়া থেকে ভিনরাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু তার আগেই ধরা পড়ে গেল পুলিশের জালে। বিধাননগর কমিশনারেটে নিয়ে আসা হচ্ছে তাকে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের হদিশ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।