সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একজনের ডিভোর্স হয়েছে, অন্যজনের মামলা চলছে। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই একসঙ্গে থাকছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)। সম্পর্ককে কখনই গোপন করেননি তাঁরা। একটি সংবাদ মাধ্যমের বিজয়ার অনুষ্ঠানে শোভনের হাতে সিঁদুর পরেছেন বৈশাখী। তবে শোভনের জন্য সিঁদুর পরা শুরু করেছেন বহু আগে, এমনটাই জানালেন বৈশাখী। বললেন, একদিন জাঁকজমক করে বিয়েও সারবেন তাঁরা।
শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে আমজনতার আগ্রহের শেষ নেই। তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কাঁটাছেড়া কম হয়নি। তবে সেসবকে কোনওদিনই পাত্তা দেননি যুগল। বরং বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন, যে যাই বলুক কেউ কারও হাত ছাড়বেন না। এবার সিঁদুর রহস্য ফাঁস করলেন বৈশাখী। তিনি জানিয়েছেন, প্রাক্তন স্বামী মনোজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে এই সিঁদুর নিয়েই অশান্তি হয়েছিল। কটূ কথা বলেছিলেন স্বামী। যা মানতে পারেননি বৈশাখী। ফলে সিঁদুর না পরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। যা দেখে খারাপ লেগেছিল শোভনের। সেদিনই তিনি বৈশাখীকে বলেন, “আজ থেকে তুমি আমার নামে সিঁদুর পরবে।” সেই থেকেই শোভনের জন্য সিঁদুর পরা। তার বহুদিন পরে বিজয়া দশমীতে শোভনের হাতে সিঁদুর পরা।
[আরও পড়ুন: ‘মমতাকে ভোট দিতেই হবে’, অশক্ত শরীরে হেঁটেই ভোট কেন্দ্রে যাবেন ১১২ বছরের হারাধন সাহা]
বৈশাখী জানিয়েছেন, তিনি সিঁদুর না পরলে দুঃখ পান শোভন। কখনও সামান্য অশান্তি হলে ইচ্ছে করেই সিঁদুর পরেন না। তখন নাকি প্রাক্তন মেয়র বৈশাখীদেবীর মেয়েকে বলেন মাকে সিঁদুর পরতে বলতে। সম্পর্ক নিয়ে বরাবর স্পষ্টবাদী বৈশাখী এদিন ফের জানিয়েছেন, শোভন বিয়ে করতে চেয়েছেন বলেই তিনি এগিয়েছেন। কোনও নামহীন সম্পর্কের জন্য কখনই তিনি এগোতেন না। তাঁরা একে অপরকে ভালবেসে সারাজীবন কাটাতে চান। ইচ্ছে আছে ঘটা করে বিয়ে করারও। বৈশাখী বলেন, “সময় যদি কেউ ঘুরিয়ে দেন, ওর আশি আমার ৬৫ হলেও বিয়েটা হবেই।”