অর্ণব আইচ: রাইসমিল চালু রাখতে চেক এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথিতে স্বাক্ষরের অনুমতি দিলে টাকা নয়ছয় হতে পারে। আদালতে দাঁড়িয়ে এমনই আশঙ্কাপ্রকাশ ইডির। কোন খাতে কত টাকা কাজে লাগানো হবে, সে সংক্রান্ত নথি বাকিবুরের আইনজীবীকে জানাতে হবে বলেই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
গত ২ ফেব্রুয়ারির শুনানি বাকিবুর রহমানের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেল চেক এবং ব্যাঙ্কের নথিপত্রে সই করতে পারছেন না বলে তাঁর রাইসমিলের কর্মীদের বেতন দিতে সমস্যা হচ্ছে। যাতে তিনি ব্যাঙ্কের নথিপত্রে সই করতে পারেন, সেই আবেদন জানান। সোমবার ওই মামলার শুনানিতে বাকিবুরের আইনজীবী বলেন, “এনপিজি রাইসমিলের অন্তত ১ হাজার কর্মচারী রয়েছেন। তাঁদের বেতন, পিএফ, ইএসআই দিতে হয়। রাইসমিল চালাতে ইলেকট্রিক বিল দিতে হয়। ৭৫ কোটি টাকা লোনের ইএমআই দিতে হয়। তাই পাঁচটি চেক আপাতত দেওয়া হয়েছে। এখন এগুলি না হলে রাইসমিল বন্ধ হয় যাবে। ইডি প্রত্যেকক্ষেত্রে হিসাবপত্র জানতে চাইছে। কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণ বলা কষ্টকর।”
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালি নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী, কী বললেন?]
বাকিবুরের আইনজীবীর দাবি শুনে বিচারক ইডির কাছে জানতে চান, “কেন আপনারা নির্দিষ্ট টাকার পরিমাণ জানতে চাইছেন?” ইডি তার পরিপ্রেক্ষিতে টাকা নয়ছয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, “ইএমআই বা যাঁকে যা দেওয়া হবে, তার হিসাব দেওয়া হোক। এটা টাকার বিষয়। নইলে অন্য জায়গায় টাকা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যেতে পারে।”
যদিও পুঙ্খানুপুঙ্খ খরচখরচার হিসাব দিতে রাজি না হলেও মোটের উপর একটি রাফ হিসাব দিতে রাজি হন বাকিবুরের আইনজীবী। উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে প্রথমেই বাকিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তার পর একে একে গ্রেপ্তার হন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং শংকর আঢ্য। বর্তমানে এই একই মামলায় ইডির স্ক্যানারে শেখ শাহজাহান। যদিও তাঁর খোঁজ পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা।