অর্ণব আইচ: রেশন দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে ইডির জালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বাকিবুর রহমান। জেলে নাকি ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না রাজ্যের মন্ত্রী। অন্ততপক্ষে আদালতে এমনই দাবি তাঁর আইনজীবীর। বাকিবুর রহমান অবশ্য অন্য কথা বলছেন। জামিনের আবেদন খারিজ হলেও গারদে বসে চেক ইস্যুর ‘আবদার’ তাঁর। যদিও ওই ‘আবদারে’ এখনও সায় দেয়নি আদালত।
রেশন বন্টন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বাকিবুর রহমানকে ব্যাঙ্কশালে ইডির বিশেষ আদালতে তোলা হয়। অন্য অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে তোলা হয় ‘ভারচুয়াল পদ্ধতি’তে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবী জানান, তাঁর কী চিকিৎসা হচ্ছে, তা তাঁরা জানতে পারছেন না। জেলে থাকাকালীন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঠিকমতো ইনসুলিনও পাচ্ছেন না বলে তাঁর অভিযোগ। তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য আবেদন জানান আইনজীবী। এই মামলার শুনানি আগামী ১৮ মার্চ। ততদিন জ্যোতিপ্রিয়কে জেল হেফাজতেই থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
[আরও পড়ুন: ‘জন্মের আগেই নোটিস দিয়েছে অভিষেককে’, ইডিকে একহাত নিলেন মমতা]
এদিন বাকিবুর রহমানের আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন জানান। এছাড়াও বাকিবুরের মিলের কর্মচারীদের জন্য তাঁর আইনজীবী ১১টি চেক ও ব্যাঙ্কের ফর্মে স্বাক্ষরের আবেদন জানান। ইডির আইনজীবীর দাবি, ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য ইডি হাতে পায়নি। তাই ইডি পুরো ব্যাপারটি দেখে তা জানাতে পারবে। ১২ ফেব্রুয়ারি চেক সংক্রান্ত মামলার শুনানি। ১৯ ফেব্রুয়ারি বাকিবুর রহমানের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। শনিবার মামলার অন্য অভিযুক্ত শঙ্কর আঢ্যকে ইডির আদালতে তোলা হতে পারে। আগামী সপ্তাহে শঙ্কর আঢ্যর ভাই মলয় আঢ্যকে ইডি তলব করেছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রসন্ন রায়কে ৬ ফেব্রুয়ারি তলব করেছে ইডি।