shono
Advertisement

হাওড়া পুরনিগম থেকে ‘বিয়োগ’বালি পুরসভার, নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিলমোহর

কাজ শুরু করতে বিল পেশ করা হবে বিধানসভায়, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
Posted: 07:09 PM Jan 21, 2021Updated: 07:27 PM Jan 21, 2021

মলয় কুণ্ডু: স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে বালি পুরসভা পৃথকীকরণের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার নবান্নে (Nabanna) ক্যাবিনেট বৈঠকের এ সিদ্ধান্তে মুখ্যমন্ত্রীর সিলমোহর পড়েছে বলে খবর। কাজ শুরু করতে বিধানসভায় এ বিষয়ে বিল আনা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তবে কবে এই আইনি পদক্ষেপের পালা সাঙ্গ হয়ে পৃথক পুরসভা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বালি, তা এখনও জানা নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, পৃথক পুরসভা হলে নাগরিক পরিষেবা আরও উন্নত হবে বালিতে। প্রসঙ্গত, আগে বালি পুরসভার আলাদাই ছিল। পরে তা হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে আরও বেশি করে নাগরিক পরিষেবা পৌঁছে দিতে তাঁদের দাবি মেনে ফের হাওড়া (Howrah) পুরনিগমকে ভাঙা হচ্ছে। পৃথক হয়ে যাচ্ছে বালি (Bally) পুরসভা। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল আগেই। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সেই সিদ্ধান্তে সবুজ সংকেত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পর অনেক ক্ষেত্রেই বাসিন্দারা সমস্যায় পড়লে তাঁদের ছুটে যেতে হচ্ছিল হাওড়া ময়দানে পুর নিগমের কেন্দ্রীয় অফিসে। দূরত্বের জন্য যানবাহনের সমস্যায় ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছিলেন তাঁরা। সেই ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ।

[আরও পড়ুন: বিধানসভা নির্বাচনের আগে দল ‘সেকুলার ফ্রন্ট’ ঘোষণা করলেন আব্বাস সিদ্দিকি]

গত শুক্রবারই রাজ্য সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর থেকে নবান্নর অর্থ দপ্তরে বালি পুরসভার অনুমোদনের জন্য ফাইল পাঠানো হয়। আগে বালি পুরসভায় ৩৫টি ওয়ার্ড ছিল। হাওড়া পুর নিগমের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পর বালিতে ওয়ার্ড সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬টি। ফের বালি আলাদা একটি পুরসভা হলে আগের মতোই ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ১৮৮৩ সালে প্রথম বালি পুরসভা গঠিত হয়। ১৯৬২ সালে একে হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে সংযুক্ত করার কথা বলা হলেও সেসময় তা হয়নি। অবশেষে ২০১৫ সালে তা হয়। হাওড়া পুর নিগম এলাকায় ৫০টি ওয়ার্ড আগেই ছিল। বালিকে সংযুক্ত করে হাওড়ায় মোট ৬৬টি ওয়ার্ড হয়। তবে হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পর বালির রাস্তাঘাট ও পানীয় জল সংক্রান্ত নাগরিক পরিষেবার যথেষ্ট উন্নতি হয়।

[আরও পড়ুন: কথা রাখলেন মমতা, পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা পাঠাতে শুরু করল রাজ্য]

কিছুদিন আগেও ট্রেড লাইসেন্স কিংবা লাইফ সার্টিফিকেটের জন্য বালির বাসিন্দাদের হাওড়া পুরনিগমে যেতে হতো। বালি থেকে হাওড়া ময়দানে বাসের সংখ্যা কম থাকায় বাসিন্দারা অনেকেই সমস্যায় পড়তেন। এছাড়া বালি পুরসভা, হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পর কোনও বরো অফিস ছিল না বালিতে। ফলে অনেক ছোটখাটো সমস্যাতেও বাসিন্দাদের ছুটে আসতে হত হাওড়া পুরনিগমে। বালি পুরসভা ফের পৃথকরূপে আত্মপ্রকাশ করলে নাগরিকদের এই ঝক্কি দূর হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement