সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সাতদিন ধরে মাত্রাছাড়া দূষণে জেরবার রাজধানী দিল্লি (Delhi)। সেখানে ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ হয়েছে বাজি (Firecrackers) পোড়ানো। এছাড়া প্রতিবার উৎসবের মরশুমে গোটা দেশে দূষণের অন্যতম কারণ হয়ে ওঠে আতসবাজি। এই অবস্থায় নতুন করে দেশজুড়ে বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে এক নির্দেশে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, শুধুমাত্র দিল্লি নয়, গোটা দেশের জন্য কার্যকর হবে বাজি সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা। মঙ্গলবার সব রাজ্যকে সেই কথা মনে করিয়ে দিল আদালত।
কদিন পরেই দেশজুড়ে পালিত হবে আলোর উৎসব দীপাবলি। তবে শুধুমাত্র আলোর রোশনাইতেই সীমাবদ্ধ থাকে না সেই উদযাপন। শব্দাসুরের দাপটে ঝালাপালা হয় কান, বারুদগন্ধ ধোঁয়ায় বিষাক্ত হয়ে ওঠে বাতাস। সেকথা স্মরণে রেখেই ২০২১ সালে নির্দেশের কথা মনে করিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই নির্দেশে শুধুমাত্র সবুজ বাজি বা গ্রিন ক্র্যাকার ব্যবহারে ছাড়া দেওয়া হয়েছিল। যদিও এর পরে গোটা দেশে শব্দবাজির দাপট খানিক কমেছে মাত্র, তা পুরোপুরি নির্মুল হয়নি। বেআইনি বাজির ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে। প্রশাসন সেই খবর রাখে না, একথা বিশ্বাস করবে না কোনও শিশুও।
[আরও পড়ুন: সেলুনের মালিক থেকে সরকারি চাকুরিজীবী, সঙ্গে মোটা নগদ! পরিচারকের ভাগ্যও বদলে দেন বালু]
এই পরিস্থিতির কথা জানিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি আবেদন করেন, রাজস্থান সরকার যেন ২০২১-এর ২৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমআর শাহ ও বিচারপতি এ এস বোপান্নার ডিভিশন বেঞ্চের বাজি সংক্রান্ত নির্দেশ কঠোরভাবে মানে। এর জবাবেই শীর্ষ আদালত জানাল, শুধু দিল্লি নয়, বাজি সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা গোটা দেশের জন্য। বাজি পোড়ানো নিয়ে নতুন নির্দেশিকার প্রয়োজন নেই। পুরনো নির্দেশই যথেষ্ট। এইসঙ্গে বিচারপতি এএস বোপান্না ও এমএম সুন্দরেশ মন্তব্য করেন, ইদানীংকালে ছোটরা নয়, বাজি পোড়ান বড়রা। যদিও পরিবেশ রক্ষা প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব।