সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আচ্ছা আপনার কী রোজকার খাবারের তালিকায় কলা মাস্ট? যদি উত্তরটা হ্যাঁ হয় তবে কিন্তু আপনার জন্য একটা খারাপ খবর আছে। অভ্যাসটা বদলে ফেলুন। তাতেই মঙ্গল। বড় জোর আর দশটা বছর। এরপর আর পাওয়া যাবে না কলা। আমরা নয়, এ কথা বলছে ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। দীর্ঘদিন ধরে তারা একটি গবেষণা চালায়। সেখান থেকেই উঠে এসেছে এমন তথ্য।
(স্ট্রেস কমাতে সেক্স নয়, এই পথই বেছে নিচ্ছেন পুরুষরা)
ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকদের কথায়, ইয়েলো সিগাটোকা, ইমুসাই লিফ স্পট ও ব্ল্যাক সিগাটোকা-তিন ধরনের ফাংগাল ডিজিস ক্রমেই ক্ষমতা নষ্ট করছে কলাগাছের। এই অবস্থাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় সিগাটোকা কমপ্লেক্স। এরফলে কলাগাছের একদিকে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে মেটাবলিজমের ফলে এইসব ছত্রাক ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে কলাগাছে। কলাগাছের শরীরে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন এনজাইম। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কলাগাছের বিভিন্ন কোষ। ক্রমেই কমে আসছে কলাগাছের প্রজনন ক্ষমতা। একটা সময়ের পর আর ফল ধরবে না কলাগাছগুলিতে।
(সিনেমা দেখার সময় কাঁদেন? তাহলে এই বিষয়টি অবশ্যই জেনে রাখুন)
২০০১ সালে প্রথম সামনে আসে সিগাটোকা কমপ্লেক্সের বিষয়টি। তা রুখতে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চলে। প্রথমে সামনে এসেছিল ব্ল্যাক সিগাটোকার লক্ষণ। সেটিকে কোনওমতে বাগে আনাও হয়। কিন্তু এরপরই সামনে আসে আরও দুটি সংক্রমণ। যা নির্মূল করা মোটে সহজ নয়।
বিশ্বের প্রায় ১২০টি দেশে প্রতিবছর প্রায় ১০ কোটি টন কলা উৎপন্ন হয়। একদিকে এই ছত্রাকের সংক্রমণ। অন্যদিকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং। এই দুইয়ের টানাপোড়েনে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে কলার ভবিষ্যৎ। গবেষকরা মনে করছেন আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়তে হবে কলাকে। বাঙালির রোজকার খাবারের তালিকা থেকে হারিয়ে যেতে পারে এই সুস্বাদু, বহু উপযোগী ফল।