সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেলা যত গড়াচ্ছে, বামেদের বনধে অশান্তিও তত বাড়ছে শহরে। কলকাতা ও আশেপাশের এলাকায় কার্যত তাণ্ডব চালাচ্ছেন বনধ সমর্থকরা। সকালে মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল যাদবপুর। আটক করা হয় বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীকে। মৌলালি ও হাজরায় বামেদের মিছিল আটকায় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় মিছিলকারীদের। শোভাবাজারে বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন বনধ সমর্থকরা। বারাসতে স্কুলের বাস থামিয়ে চালককে মারধর করা হয়। বনধে তুমুল অশান্তি বেলঘরিয়াতেও।
[ বামেদের বনধে রাজ্যজুড়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তি, ব্যাহত রেল পরিষেবা]
রাজ্য পালাবদলের পর এ রাজ্য বনধ সংস্কৃতির অবসানে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গল ও বুধবার বামেদের বনধেও রাজ্যকে সচল রাখতে উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। শহরে চলছে অতিরিক্ত সরকারি বাস, মোতায়েন প্রচুর পুলিশ। কিন্তু, ‘কর্মনাশা’ বনধে সফল করতে মরিয়া বামেরাও। সকাল থেকে দফায় দফায় মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচি রয়েছে বাম কর্মীদের। বেলা গড়াতেই অশান্তি বাড়ছে শহরে। সাতসকালে বনধের সমর্থনে মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল যাদবপুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। পূর্ব ঘোষণা মতোই মৌলালি থেকেও মিছিল বের করেন বাম কর্মীরা। পুলিশ মিছিল আটকালে যথারীতি অশান্তি হয়। গ্রেপ্তার করা অনাদি শাহু-সহ বেশ কয়েকজন বাম শ্রমিক নেতাকে। শুধু মিছিল করাই নয়, শোভাবাজার আবার বাসেও আগুন লাগানোর চেষ্টা করেন বনধ সমর্থকরা। বেলগাছিয়া মেট্রো স্টেশনের সামনে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বাম কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মেট্রো স্টেশনের সামনে। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বামদের বনধে শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি। সোমবার সকালে বারাসতে একটি স্কুলবাসে ভাঙচুর চলে। বাসের চালককে বেধড়ক মারধর করেন বনধ সমর্থকরা। বেলঘড়িয়ায় রেল অবরোধে বাধা দিলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। বেলঘড়িয়া ব্রিজেও দীর্ঘক্ষণ গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল ধর্মঘটীদের তাণ্ডবে।
[ টাকা ফেললেই সরকারি চাকরি! মহিলা প্রতারকের ফাঁদে যুবক]
ছবি: পিন্টু প্রধান