সুকুমার সরকার, ঢাকা: ‘‘বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা বাইচান্স এসেছে।’’ এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিরাট বিতর্কে জড়ালেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বরচন্দ্র রায়। সেই সঙ্গে দেশের সংবিধান রচয়িতাদের সম্পর্কে অবমাননামূলক মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন আব্দুল আউয়াল মিন্টুও। তাঁদের এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যনির্বাহী সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক মঙ্গলবার একটি বিবৃতি পেশ করে ওই ধরনের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ কারও দয়ার দান নয়। পাকিস্তানি শাসকদের শোষণের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সহকর্মী জাতীয় নেতাদের আড়াই দশকের ক্রমাগত লড়াই ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ফলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। সেই সঙ্গে এও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সময়কালের দীর্ঘ সংগ্রামে অসংখ্য মানুষ আত্মাহূতি দিয়েছেন। নির্যাতিত হতে হয়েছে আরও বহু মানুষকে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে ৩০ লক্ষ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হন। লক্ষ লক্ষ মা, বোন, মেয়েদের ধর্ষিতা হতে হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নাড্ডার নেতৃত্বেই ২০২৪ লোকসভার লড়াই! বাড়ল বিজেপি সভাপতির কার্যকালের মেয়াদ]
ঠিক কী বলেছিলেন ওই বিএনপি নেতারা? গয়েশ্বরচন্দ্র রায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা বাইচান্স এসেছে।’’ এদিকে আব্দুল আউয়াল মিন্টু দাবি করেন, বাংলাদেশের সংবিধান যাঁরা তৈরি করেছিলেন, তাঁরা কেউ যোগ্য ছিলেন না। বিএনপি ক্ষমতায় এলে নতুন করে দেশের সংবিধান লেখা হবে বলেও দাবি করেন তিনি। আর তারপরই শুরু বিতর্ক।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের দাবি, এই ধরনের মন্তব্য বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিতবাহী। সেই সঙ্গে পরিষদের আরও মন্তব্য, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কোনও কোনও সামরিক কর্তার ‘পকেট’ থেকে বাইচান্স নেতা হয়ে গিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের পক্ষেই দেশের স্বাধীনতা ও সংবিধান নিয়ে এই ধরনের গর্হিত মন্তব্য করা সম্ভব। এই ধরনের বক্তব্য ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বলে তোপ দেগে বর্তমান আইনের অধীনে তাদের নিয়ে আসার দাবিও করেছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।