সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর শেষ হলেও বিক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। মৌলবাদী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সদস্যদের হামলায় কার্যত অগ্নিগর্ভ দেশ। পুলিশ ও বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সঙ্গে সংঘর্ষে হেফাজত-সহ বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠনের ১০ জন সদস্য নিহত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জেলে গিয়েছি’, ঢাকায় বললেন মোদি]
গত শুক্রবার অর্থাৎ ২৬ মার্চ ছিল মোদির বাংলাদেশ সফর । করোনা মহামারীর পর প্রথম বিদেশ সফরে দেশে পা রেখেছিলেন তিনি । কিন্তু মোদি সে দেশে পৌঁছনোর পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে মৌলবাদী ও কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নির্যাতনে মদত দিচ্ছেন মোদি। চট্টগ্রামে বিক্ষোভকারীদের মিছিলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ । পুলিশের গুলিতে ৪ জন মারা যায় বলে জানা গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত চলা হিংসাত্মক ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭ জন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তিনজন নিহত গিয়েছে। আগের তিনদিনের রেশ ধরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বন্ধের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টানা তৃতীয় দিনের মত তাণ্ডব চালায় মাদ্রাসার ছাত্ররা। জেলা শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে হেফাজতকর্মীরা। পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে অন্তত দু’জন হাসপাতালে মারা যায়। তার আগের দিন মৃত্যু হয়েছিল পাঁচজনের।
উল্লেখ্য, মুজিববর্ষ উদযাপনে আমন্ত্রিত হয়ে গত শুক্রবার দু’দিনের সফরে ঢাকা পৌঁছন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই তিনি ঢাকা বিমানবন্দরে নামেন। শাহজালাল বিমানবন্দরে তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সেখানে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। সেখানে একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। শনিবার সকালে সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে পুজো সেরে বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় যান তিনি। সেখানে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মোদি। দেশে ফেরার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে একাধিক প্রকল্প নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন তিনি। সব মিলিয়ে মোদির সফরে নতুন মাত্র পেয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক।