সুকুমার সরকার, ঢাকা: মুক্তমনা ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় ঢাকার একটি আদালতে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এনিয়ে এই মামলায় এখনও পর্যন্ত সাতজন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছে। ১১ ডিসেম্বর এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
সোমবার, ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মহম্মদ মজিবুর রহমানের এজলাসে সাক্ষ্য দেন এক চা বিক্রেতা-সহ তিন জন। আদালতে চা বিক্রেতা আবদুল মালেক জানান, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের ৩ নম্বর গেটে চা বিক্রি করছিলেন। রাত সাড়ে আটটা থেকে নয়টার মধ্যে তাঁর দোকান থেকে ৩০-৩৫ গজ দূরে প্রবল চিৎকার শুনতে পান তিনি। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন যে রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জন রাস্তায় পড়ে আছেন। অপর সাক্ষী আমিনুজ্জামান জানিয়েছেন যে, তিনি এবং তাঁর বন্ধু মাহমুদুর রহমান টিএসসি মোড়ে মোটরসাইকেল রেখে বইমেলায় ঢোকেন। রাত ন’টার দিকে বইমেলা থেকে বেরিয়ে মোটরসাইকেল যেখানে রাখা ছিল, সেখানে অনেক লোকজন দেখতে পান। পরে পুলিশ তাঁকে জানান, এই স্থানে একজনকে খুন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মুক্তমনা ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে মৌলবাদীরা। হামলায় তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদও আহত হন। অভিজিৎ ও রাফিদা দু’জনেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে তাঁরা দেশে ফিরেছিলেন। মেলা থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার পথেই তাঁদের উপর হামলা হয়। এ ঘটনায় অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। তারপর তদন্ত শুরু করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। গত ১৩ মার্চ প্রাক্তন মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক-সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ওই মামলায় বাকি অভিযুক্তদের নাম হচ্ছে–আরাফাত রহমান ওরফে শামস ওরফে সাজ্জাদ, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমন ওরফে শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক ওরফে সোহেল ওরফে সাকিব, আক্রম হোসেন আবির ওরফে আদনান ও শফিউর রহমান ফারাবি। আসামিদের মধ্যে জিয়াউল ও আক্রম পলাতক।
[আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে বাংলাদেশ]
The post ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ ঢাকার বিশেষ আদালতে appeared first on Sangbad Pratidin.