সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের উত্তর জনপদ জেলা বগুড়ায় দুর্গা মন্দির চত্বরে শাসকদল আওয়ামি লিগের অঙ্গ সংগঠন যুবলিগ কর্মী সুব্রত ওরফে সম্রাট দাস’কে (২৭)কুপিয়ে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা।
[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আরও দৃঢ় ভূমিকা গ্রহণ করুক রাষ্ট্রসংঘ, আবেদন শেখ হাসিনার]
রবিবার শহরতলীর সাবগ্রাম হাট দুর্গা মন্দির চত্বরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত সম্রাট সাবগ্রাম পালপাড়ার কালিপদ দাসের ছেলে। তিনি সাবগ্রাম ইউনিয়ন যুবলিগের সদস্য। ঘটনার পর থেকে সাবগ্রাম হাট মন্দির এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে বালি ব্যবসা নিয়ে অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে সম্রাটকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই দিন রাত ১টা নাগাদ মন্দিরে যান সম্রাট। প্রতিমা দর্শন শেষে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মন্দির চত্বরে দুষ্কৃতীরা তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। আত্মরক্ষায় মন্দির চত্বরে একটি টিনের ঘরে আশ্রয় নেন আক্রান্ত ব্যক্তি। দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে তাকে টেনে বের করে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।
সম্প্রতি এলাকায় বালি ব্যবসা নিয়ে তার সাথে প্রতিপক্ষের বিরোধ হয়। তিন মাস আগে সম্রাটের বিরুদ্ধে সাবগ্রাম এলাকায় মানববন্ধন করে তার প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন। এরপর থেকে সম্রাট এলাকা ছেড়ে বগুড়া শহরের বসবাস করতেন। কিছুদিন আগে সম্রাটের দাদা জুয়েল শাসকদলেরই সংগঠন ছাত্রলিগের এক নেতাকে মারধর করে। এরপর থেকে সাবগ্রাম এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। রবিবার রাতে সম্রাট বগুড়া থেকে বাড়ি গিয়ে তার বাবা-মার সাথে দেখা করে। বাড়িতে খাওয়া দাওয়া শেষে মন্দিরে যায় প্রতিমা দর্শন করতে। এদিকে প্রতিপক্ষের লোকজন সম্রাটের আগমনের খবর পেয়ে সাবগ্রাম হাটের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয়। সম্রাট মন্দির থেকে বের হতেই মন্দির চত্বরেই তার ওপর হামলা চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনার পর পরই এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। অবশ্য নিহত সম্রাটের নামে হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র-সহ ৫টি মামলা রয়েছে।