সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) ভয়াবহ দুর্ঘটনা। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ২০০ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে গেল একটি লঞ্চ। রবিবার সন্ধ্যায় মালবাহী একটি কার্গো লঞ্চটিকে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় অনেকেরই হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আপাতত চলছে উদ্ধারকার্য। এদিকে আবার কালবৈশাখীর তাণ্ডবে মারা গিয়েছেন চারজন।
জানা গিয়েছে, এমভি রাবিতা আল হাসান নামের লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ রুটে চলাচল করত। এদিন সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয় লঞ্চটি। কিন্তু যাত্রা শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যে নির্মীয়মান তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর সামনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেটি। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এ সময় প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ে একটি মালবাহী কার্গো লঞ্চটিকে ধাক্কা মারলে, সেটি একপাশে কাত হয়ে ডুবে যায়। ওই সময় কিছু যাত্রী লঞ্চ থেকে বের হয়ে সাঁতরে তীরে ওঠার চেষ্টা করেন। তবে ঝড়ের কারণে নদীর তীর থেকে কেউ ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রীদের সহায়তা করতে যেতে পারেননি। শেষ পাওয়া খবরে, রাতের দিকে কোনওরকমে উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটর বাবুল মিঁঞা জানিয়েছিলেন, অন্তত ২৫০ জন যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কয়লা ঘাট এলাকায় লঞ্চটি ডুবে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: লকডাউনের বাংলাদেশে বন্ধ সমস্ত গণপরিবহণ, ছাড় শুধু জরুরি পরিষেবায়]
সাঁতরে তীরে উঠা লঞ্চের যাত্রী মোহন বেপারী বলেন, এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ লঞ্চঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছে আসা মাত্র বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী কার্গো লঞ্চটিকে ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়। মোহন বেপারীর দাবি, লঞ্চে ২০০ থেকে ২৫০ জন যাত্রী ছিলেন। তিনি-সহ আরও ৪০-৫০ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন। বাকিদের ব্যাপারে কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আপাতত উদ্ধারকার্য চলছে।
এদিকে, গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে মহিলা-সহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুর ৩টের দিকে গাইবান্ধা জেলার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। হঠাৎ শুরু হওয়া ঝড়ে ঘরবাড়ি-গাছপালা ভেঙে পড়লে ওই চারজন মারা যান। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।