স্টাফ রিপোর্টার: কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা (Bangladesh Book Fair in Kolkata) হচ্ছে বছর দশেক ধরে। কিন্তু বাংলাদেশে কখনও কলকাতা বইমেলা হয়নি। একাধিকবার চিঠি দিয়েও তা চালু হয়নি। তবে এবার বাংলাদেশেও পশ্চিমবঙ্গের বইমেলা হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণির কথায় শুক্রবার সেই ইঙ্গিত মিলেছে।
এদিন কলেজ স্কোয়্যারে শুরু হল ১০তম বাংলাদেশ বইমেলা। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। সেখানে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও বলেন, ‘‘এরাজ্যে যেমন বাংলাদেশ বইমেলা হচ্ছে। তেমনই বাংলাদেশেও যদি এখানকার প্রকাশ করা বইয়ের মেলা করতে পারেন, তবে সেখানকার মানুষও এই বাংলার বই পড়তে পারবেন।’’ তাঁর এই ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দিতে চান বলে জানান বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী। বলেন, ‘‘আমাদের ওখানেও পশ্চিমবঙ্গের বইমেলা হবে। আমাদের প্রকাশক, লেখক সকলের সাহায্য আপনারা পাবেন। আমাদের সকল বইয়ের দোকানে পাওয়া যায় এখানকার বই।’’
[আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় দুর্নীতি রুখতে কড়া রাজ্য, যোগ্যদের বাছতে ত্রিস্তরীয় পরীক্ষার সিদ্ধান্ত]
আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলেজ স্কোয়্যারে চলবে বাংলাদেশ বইমেলা। বেলা একটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে দোকান। বাংলাদেশের ৭৫ জন প্রকাশকের বই এখানে পাওয়া যাচ্ছে। দেওয়া হয়েছে ৬৮ স্টল। করোনার (Coronavirus) কারণে গত দু’বছর এখানে বাংলাদেশ বইমেলা হয়নি। কলেজ স্কোয়্যারে এবারই প্রথম তা হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এদিন উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, বাংলাদেশের উপ হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।
দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘মোহরকুঞ্জ না পাওয়া যাওয়ায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বইমেলার জন্য যখন জায়গার কথা আমায় বলা হল, আমি শুরুতেই তখন কলেজস্ট্রিটের কথা বলি। কারণ বইমেলার জন্য বইপাড়ার থেকে ভাল জায়গা আর হয় না।’’ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, “মানুষের সবথেকে বড় সঙ্গী বই। দুই বাংলার সেতুবন্ধনের কাজ করছে বই। কলেজস্ট্রিটেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি কলেজ, এটা বইপ্রেমী মানুষদের পীঠস্থান। সেখানে বইমেলা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর মানুষ এখানে আসবেন বই কিনতে।
পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘দুই বাংলাকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন একজন মহিলা। যাঁরা আন্দোলন থেকে উঠে এসেছেন। তাঁরাই বাংলাকে পথ দেখাচ্ছেন।’’ বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী জানান, পশ্চিমবঙ্গকে বিদেশ বলে মনে হয় না। পাসপোর্ট ভিসার কারণে আমরা দুই দেশের। তবে আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খুব নিবিড়। এখানকার প্রধানমন্ত্রীর মতো মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক খুব ভাল। তাই দুই দেশের পাশাপাশি দুই বাংলার সম্পর্কও মধুর। এদিন মঞ্চে ছিলেন দেজ পাবলিকেশনের কর্ণধার সুধাংশু দে। তিনিও বাংলাদেশে বইমেলা করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।