সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রায় ১৩ বছর আগের এক খুনের ঘটনা। ধারালো অস্ত্রের কোপে বেশ কয়েকজন মিলে হত্যা করেছিল সমাজকর্মী নুরুল হককে। এর পর চলে দীর্ঘ আইনি লড়াই। এক দশক পর বিচার পেলেন নুরুল হকের ছেলে শরিফুল ইসলাম। ওই খুনের মামলায় কুমিল্লায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত।
২০১১ সালে কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ার ছোট ধুশিয়া এলাকার সমাজকর্মী নুরুল হক হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় অন্তত ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। বুধবার দুপুরে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মহম্মদ জাহাঙ্গির হোসেন এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। তিনি ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনের যাবজ্জীবনের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সাজাপ্রাপ্ত সকলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘তিস্তা নিয়ে কথা হয়নি’, মোদি-মমতা সংঘাতের আবহেই জানালেন হাসিনা]
এই মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এপিপি মহম্মদ জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নুরুল হক হত্যা মামলার মোট ২২ জন অপরাধী ছিল। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী আধিকারিক ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। রায়দানের সময় আদালতের এজলাসে ১১ জন আসামি উপস্থিত ছিল। অপর ৭ জন পলাতক রয়েছে। মামলার বিচার চলাকালীন ২ জন মৃত্যুবরণ করেন এবং ২ জনকে বেকসুর খালাস করেছেন বিচারক। এই মামলায় মোট ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
এই বিষয়ে শরিফুল ইসলাম জানান, "জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সালিশিসভার রায়ে ক্ষিপ্ত হয়েছিল মামলার মূল অভিযুক্ত মহম্মদ মাসুম-সহ অন্যান্য অপরাধীরা। সকলে মিলে ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে আমার বাবা নুরুল হককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে।" এ ঘটনায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। আদালতের এ রায়ে তিনি সন্তুষ্ট বলেও জানিয়েছেন শরিফুল।