সুকুমার সরকার, ঢাকা: মুক্তমনা ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করল আদালত। মঙ্গলবার, এই মামলায় পাঁচ দোষীকে ফাঁসির সাজা দিয়েছেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক মজিবুর রহমান।
[আরও পড়ুন: আরও ২ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচরে পাঠাল বাংলাদেশ]
এদিন মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে খুনের মামলায় ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করে আদালত। এই ৬ জঙ্গির মধ্যে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। উগ্রপন্থায় বিশ্বাসী ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দোষীদের উপর জরিমানাও ধার্য করেছেন বিচারক।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে নিয়ে ঢাকা বইমেলা থেকে ফিরছিলেন অভিজিৎ রায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মৌলবাদীরা। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু হয় তাঁর। হামলাকারীদের ঠেকাতে গিয়ে মারাত্মক জখম হন তাঁর স্ত্রীও। ঘটনার পরের দিন নিহত ব্লগার অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অজয় রায় শাহবাগ থানায় এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার চার বছর পর গত ১৩ মার্চ ছ’জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন এই মামলার তদন্ত আধিকারিক ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। তারপর, দীর্ঘদিন ধরে চলা মামলা শেষে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক মজিবুর রহমান সরকার ও আসামী পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। সেই মতো আজ সাজা ঘোষণা করে আদালত। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা মজবুত করে তোলা হয়েছে।