সুকুমার সরকার, ঢাকা: মুক্তমনা আরেফিন দীপন হত্যায় ৮ অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। পাশাপাশি, ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও দিতে হবে তাদের। রাজধানী ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মহম্মদ মজিবুর রহমান বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্তরা সকলেই জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।
[আরও পড়ুন: জনগণকে টিকা নিতে উৎসাহদান, করোনা ভ্যাকিসন নিলেন বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী]
দীর্ঘদিন ধরে চলা শুনানির পর আজ সাজা ঘোষণা করে আদালত। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আট আসামী হল, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির, আবদুস সবুর ওরফে আবদুস সামাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল রিফাত, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব সাজিদ, মোজাম্মেল হুসেন ওরফে সায়মন, শেখ আবদুল্লা ওরফে জুবায়ের, চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব। তাদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক। আজ বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কারাগারে থাকা ছয় আসামীকে আদালতের এজলাসে তোলা হয়। এ সময় আসামীদের প্রত্যকের গায়ে ছিল বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, মাথায় হেলমেট। রায় ঘোষণার জন্য আদালতের ভিতরে ও বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আদালত চত্বরে নিরাপত্তাবাহিনী কড়া নজরদারি চালায়।
উল্লেখ্য, প্রায় বছর পাঁচেক আগে জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সল আরেফিন দীপনকে (Foisal Arefin Dipon) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের অফিসে খুন হন দীপন। তাঁকে খুন করে জেহাদি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্যরা। বলে রাখা ভাল, মুক্তমনা লেখক অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশ করেছিলেন দীপন। তারপর থেকেই মৌলবাদীদের নিশানায় ছিলেন তিনি। ওই বছরেরই ফেব্রুয়ারিতে উগ্রপন্থীরা অভিজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করে। অভিজিতের পর ব্লগার নীলাদ্রি নিলয়, অনন্ত বিজয় দাস ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ওয়াশিকুর বাবুকে একই কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা।