সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) হত্যার চেষ্টা মামলায় ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখল হাই কোর্ট। বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহম্মদ বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে।
[আরও পড়ুন: মুজিববর্ষকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সফরে বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর, মার্চের গোড়াতেই যাচ্ছেন ঢাকা]
২০০০ সালের জুলাই মাসে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে আওয়ামি লিগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। জানা যায়, হাসিনার সভাস্থলের পাশে তাঁকে হত্যা করতে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। এই ঘটনায় তৎকালীন কোটালিপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন মামলা করেন। তারপর তদন্ত শেষে প্রায় দুই দশক ধরে শুনানি চলে আদালতে। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে ২০০৯ সালের ২৯ জুন আরও নয়জনকে আসামী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করে অতিরিক্ত চার্জশিট দেওয়া হয়। এরপর ২০১০ সালে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা-২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে পাঠানো হয়। সেখানে এই মামলার বিচার সম্পন্ন হয়। তারপর ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড ও চার দোষীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের রায় দেন। এই মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের নাম– ওয়াসিম আকতার, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম, ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর।
এদিকে, নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে মামলা করে দোষীরা। তারপর গত ১ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহম্মদ বদরুজ্জামানের দুই সদস্যের বেঞ্চে সরকার ও আসামী পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে আদালত। কিন্তু এখানেও শেষরক্ষা হয়নি। নিজেদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে জঙ্গিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাই কোর্ট।