সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের অধিকাংশ সদস্য আগেই ফিরে গিয়েছেন। রয়ে গিয়েছিলেন শুধু রিজার্ভ ওপেনার সইফ হাসান। আর সেটাই কাল হল তাঁর জন্য। তিনি লক্ষ্যই করেননি যে তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ভারতে থাকার ফলে, তাই তাঁকে শাস্তির মুখে পড়তে হল। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অপেশাদারিত্ব প্রকাশ্যে চলে এল।
[আরও পড়ুন: দাদার আমলেই বিদেশে জেতা শুরু, কোহলির পাশে গম্ভীর]
ভারতের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য দলে সুযোগ পেয়েছিলেন সইফ। তিনি ভারতে এসেছিলেন মূলত ওপেনার হিসেবে। কিন্তু, দুই ম্যাচের কোনওটিতেই সুযোগ পাননি। ছিলেন রিজার্ভ বেঞ্চে। পিংক বল টেস্ট তিনদিনে শেষ হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের কয়েকজন ক্রিকেটার দ্রুত দেশে ফিরে যান। কিন্তু, কয়েকজন থেকে যান ভারতে। তাদের কারও কারও ব্যক্তিগত কাজ ছিল। কেউ আবার ভারতে ছিলেন চিকিৎসার জন্য। লিটন দাসও ভারতে ছিলেন। তিনি বুধবার কালীঘাট কালী মন্দিরে পুজোও দেন।
[আরও পড়ুন: সৌরভের বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়া নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন কোচ শাস্ত্রী ]
যে সমস্ত ক্রিকেটাররা ভারতে থেকে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন সইফও। সোমবার তাঁর ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, বিমানবন্দরে যেতেই তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। দেখা যায়, তাঁর ভিসার মেয়াদ দু’দিন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। আসলে, বাংলাদেশের অন্যান্য ক্রিকেটারের সঙ্গে সইফের ভিসা করা হয়নি। তাঁর ভিসাটি করা হয়েছিল মাস ছয়েক আগেই। সেসময় ব্যক্তিগত কাজে ভারতে আসেন সইফ। ২৫ নভেম্বর ফেরার সময় বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর ভিসা শেষ হয়ে গিয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে তিনি বা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কেউই তা লক্ষ্য করেনি।
শেষপর্যন্ত অতিরিক্ত সময় ভারতে থাকার জন্য ২১ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা দিতে হয় সইফকে। বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারের তৎপরতায় তিনি দেশে ফিরতে পেরেছেন। সইফ দেশে ফিরলেও এই ঘটনার জেরে প্রমাণ হয়ে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এখনও পুরোপুরি পেশাদার হয়ে উঠতে পারেনি।
The post ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ভারতে, জরিমানা দিতে হল বাংলাদেশি ক্রিকেটারকে appeared first on Sangbad Pratidin.