সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রক্তাক্ত রবিবারের পর সোমবারের তুমুল উন্মাদনা। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পরও উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। শোনা যাচ্ছে, মন্দির ভাঙার খবর। কাজল রায় নামের এক হিন্দু কাউন্সিলারকেও নাকি খুন করা হয়েছে। ইসকনের মন্দির ভাঙার খবর পাওয়া গিয়েছে। ফরিদপুরের ছবি শেয়ার করে এই 'বীভৎসতা'র প্রতিবাদ করলেন ঋদ্ধি সেন (Riddhi Sen)। একই ছবি পোস্ট করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee)।
ঋদ্ধি-পরমব্রতর শেয়ার করা ছবিতে একটি গেটের সামনে একদল তরুণকে দাঁড়িয়ে ও বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির ক্যাপশনে লেখা, "ফরিদপুরে রামকৃষ্ণ মিশন রক্ষার্থে আমাদের চরকমলাপুর যুব সংঘ টিম পাহারায় রয়েছে। ইন-শা-আল্লাহ আমরা থাকতে পুরো ফরিদপুর শহরে কোন মন্দিরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেব না। এছাড়া ফরিদপুর ইসকন মন্দির, সাহাপারা মন্দির, পূর্ব আলিয়াবাদ পাটপাশা মন্দির ও চকবাজার মন্দিরেও আমাদের ভলান্টিয়াররা রয়েছে।"
[আরও পড়ুন: দেশ ছাড়তে মাত্র ৪৫ মিনিট সময়, হাসিনাকে ‘শেষ বার্তা’ও দিতে দেয়নি সেনা!]
পরমব্রত শুধুমাত্র ইনস্টাগ্রামে ছবিটি শেয়ার করেছেন। কোনও বক্তব্য তিনি জানাননি। তবে ঋদ্ধি নিজের শেয়ার করা পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন, "সোশাল মিডিয়া নামক পরমাণু বোমার চেয়েও ভয়ানক আবিষ্কারের মধ্যে থেকে একটা চেষ্টা করে যেতে হবে, সত্যের বদলে মিথ্যের বিস্ফোরণ যাতে না ঘটে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ঘটে চলা বীভৎসতা এবং ভুলের মাঝে চেষ্টা করতেই হবে সত্যিটা এগিয়ে রাখার, কোনও দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া নাগরিক সন্ত্রাসবাদী, মৌলবাদী নন। রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলগুলো শেষ অবধি সন্ত্রাসবাদী। এই মুহূর্তের পরিস্থিতি জবাবের বদলে পালটা জবাব, ঘৃণার বিরুদ্ধে পালটা ঘৃণা, ধ্বংসের বিরুদ্ধে পালটা ধ্বংসের নয়। ফেসবুক নামক বস্তুটির অ্যালগরিদম যেকোনও রাষ্ট্র ব্যবহার করে নিজেদের ঘৃণা ছড়ানোর মাধ্যম হিসেবে। অনুরোধ করছি, এই ঘৃণা মানুষ চায় না, যারা চায় তারা আর যাই হোক সাধারণ নাগরিক নন।"
এর সঙ্গেই ঋদ্ধির আর্জি, "যে লুন্ঠন, ধ্বংস আর ভুল ইতিহাসের পথে হাঁটার পরিস্থিতি চলছে বাংলাদেশে তা বন্ধ হোক। কিন্তু সেই বন্ধ করার পথে অপর দিক থেকে জবাব হিসেবে ঘৃণা দিয়ে সেই পথকে পুষ্ট করে তুলবেন না। ছাত্র আর মৌলবাদীদের এক করে দেবেন না, এই সময়টা সব থেকে কঠিন, যে সময় একটা সরু সুতোর ওপর হাঁটতে গিয়ে অধিকাংশই পড়ে যায় অন্ধকার ঘৃণার গহ্বরে। বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙার মতো লজ্জাজনক এবং ভয়ানক চিত্রের পাশাপাশি একটা অন্য দৃশ্যও চলছে, অনুরোধ করছি, সেটাকে এড়িয়ে যাবেন না। দুই দেশের মাটি, জল, হাওয়ার গতিপথ মিশে আছে, সেই রাস্তায় কোনও সাম্প্রদায়িকতা নেই, থাকতে দেবেন না, দয়া করে এই ভাবনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।"