সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিপদ কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি-র। একের পর এক দুর্নীতি মামলায় সাজার মেয়াদ ক্রমেই বাড়ছে দলনেত্রী খালেদা জিয়ার। মঙ্গলবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির একটি মামলায় বেগম জিয়ার জেলের সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করল হাই কোর্ট।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে বিপুল অঙ্কের টাকা নয়ছয় জরার অভিযোগ ওঠে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে। দায়ের হয় বেশ কয়েকটি মামলা। এমনই এক মামলার রায় ঘোষণা হয়েছিল গত ৮ ফেব্রুয়ারি। বকশিবাজারে কারা-অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে চলে শুনানি। বিচার শেষে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করেন বিচারক মহম্মদ আখতারুজ্জামান। একই সঙ্গে ১০ বছরের জেলের সাজা দেওয়া হয় তারেক রহমান, মাগুরার প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামালউদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে। ওই মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের আপিলে এদিন জিয়ার সাজা বৃদ্ধি করে ১০ বছর করল বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মহম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ।
[নির্বাচনের প্রাক্কালে বড় সিদ্ধান্ত, বাংলাদেশে জামাতে ইসলামির নিবন্ধন বাতিল]
উল্লেখ্য, গতকালই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অন্য একটি মামলায় বেগম জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত। তবে, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ বাংলাদেশ সাধারণ নির্বাচনের আগে খালেদাকে জেলে রাখতেই সরকারি তৎপরতা শুরু করেছে বলে বিএনপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে৷
[ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন হাসিনা, ঘোষণা আওয়ামি লিগের]