shono
Advertisement

বাংলাদেশে নিকেশ রোহিঙ্গা ইয়াবা পাচারকারী, উদ্ধার ২ লক্ষ ট্যাবলেট

বাংলাদেশে আরও জোরাল মাদক বিরোধী অভিযান।
Posted: 12:55 PM Nov 14, 2020Updated: 12:55 PM Nov 14, 2020

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) আরও জোরাল মাদক বিরোধী অভিযান। এবার পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হয়েছে এক কুখ্যাত রোহিঙ্গা (Rohingya) ইয়াবা মাদক পাচারকারী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এবার আদালতেও ধরাশায়ী ট্রাম্প শিবির, টিকল না রিপাবলিকানদের ‘ভোট কারচুপি’র মামলা]

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ১০.৩০ মিনিট নাগাদ কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর ১ নম্বর স্লুইসগেট এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পাচারকারীদের। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে টেকনাফ ২ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহম্মদ ফয়জল হাসান খান জানান, ঘটনাস্থল থেকে ২ লক্ষ ১০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি দেশীয় অস্ত্র ও বন্দুকের কার্তুজের দু’টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তি রোহিঙ্গা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, গতকাল রাতে নাফ নদীতে স্পিডবোট নিয়ে বিজিবির একটি বিশেষ দল টহল দিচ্ছিল। এ সময় তাঁরা দেখতে পান, একটি কাঠের নৌকায় করে তিন ব্যক্তি মায়ানমারের জলসীমা পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। টহলরত বিজিবির সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে পাচারকারীরা বিজিবির সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পালটা হামলা চালায়। এ সময় দুই পাচারকারী নাফ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মায়ানমার সীমান্তের দিকে চলে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে পাওয়া যায়। নৌকা-সহ তাকে উদ্ধার করেন বিজিবির সদস্যরা। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উলেখ্য, ২০১৮ সালের মে মাস থেকে গোটা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশ, মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মানব পাচারকারী দালাল চক্র ও ডাকাত দলের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় এপর্যন্ত চারজন মহিলা-সহ শুধু কক্সবাজার জেলায় ২৫১ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৯৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। এই মুহূর্ত বাংলাদেশে রয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। রাখাইন প্রদেশে বার্মিজ সেনার হামলায় বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়ছে তারা। তবে আশ্রয়প্রার্থী হয়ে এতদিন বাংলাদেশে ছিল যে রোহিঙ্গারা, আজ তারাই হয়ে উঠেছে মাথাব্যথার কারণ৷ মাদক কারবার থেকে শুরু করে খুন-ডাকাতি, বিদেশী কিশোরী-যুবতী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে এরা। যে কারণে আগেই রোহিঙ্গাদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে হাসিনা সরকার।

[আরও পড়ুন: ধাক্কা খেল ‘গ্লোবাল জেহাদ’, ফরাসি বাহিনীর হামলায় খতম আল কায়দা কমান্ডার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement