সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্রমেই বাড়ছে মাদক পাচারকারীদের দাপট। বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একাংশ এই পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকায় বাড়ছে উদ্বেগ। এবার আওয়ামি লিগের এক ছাত্রনেতাকে গুলি করে খুন করেছে মাদক কারবারিরা।
[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত কয়েকজন কর্মী, সংক্রমণ এড়াতে মালয়েশিয়ায় বন্ধ বাংলাদেশ হাইকমিশন]
পুলিশ সূত্রে খবর, কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবা পাচারকারীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন মহম্মদ উসমান সিকদার (৪০)। উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানান, নিহত ব্যক্তি ওই গ্রামের মহম্মদ আলির ছেলে এবং টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলিগের সহ-সভাপতি। এর আগে তিনি সাবরাং ইউনিয়ন ছাত্রলিগের সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন। নিহতের পরিবারের বরাতে টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলিগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ বলেন, “এর আগে একটি বাইক চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ করেন উসমান শিকদার। এ সময় উপজেলার সাবরাং নয়াপাড়া বাজারে সাবরাং ইউপির সাবেক সদস্য মহম্মদ আবদুল্লা ওরফে খুলু মেম্বারের ছেলে মহম্মদ শাকের ও কাটাবনিয়ার মহম্মদ কাসিমের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ প্রকাশ্যে উসমান সিকদারের উপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে। এ ঘটনায় উসমান থানায় একটি অভিযোগ ও দায়ের করেছিলেন। ওই ঘটনার জেরে ভোরে নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় উসমানকে গুলি করে হত্যা করা হয়।”
উল্লেখ্য, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধ ইয়াবা পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালের মে মাস থেকে গোটা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মানব পাচারকারী দালাল চক্র ও ডাকাত দলের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় এপর্যন্ত চারজন মহিলা-সহ শুধু কক্সবাজার জেলায় ২৫১ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৯৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। এই মুহূর্ত বাংলাদেশে রয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। রাখাইন প্রদেশে বার্মিজ সেনার হামলায় বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়ছে তারা। তবে আশ্রয়প্রার্থী হয়ে এতদিন বাংলাদেশে ছিল যে রোহিঙ্গারা, আজ তারাই হয়ে উঠেছে মাথাব্যথার কারণ৷ মাদক কারবার থেকে শুরু করে খুন-ডাকাতি, বিদেশী কিশোরী-যুবতী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে এরা। যে কারণে আগেই রোহিঙ্গাদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে হাসিনা সরকার।