shono
Advertisement

নির্বাচনের প্রাক্কালে বড় সিদ্ধান্ত, বাংলাদেশে জামাতে ইসলামির নিবন্ধন বাতিল

নির্বাচনের মুখে বিপাকে জামাত।
Posted: 02:06 PM Oct 30, 2018Updated: 02:06 PM Oct 30, 2018

সুকুমার সরকার, ঢাকা: পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরুদ্ধাচরণকারী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামাতে ইসলামির নিবন্ধন বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ডিসেম্বরে দেশে সাধারণ নির্বাচনের আগে এমন ঘোষণার চরম বিপাকে পড়ে গেল ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলটি। ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়। ২০১৩ সালে হাইকোর্টের রায়ে নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণার পাঁচ বছর পর নিবন্ধন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এর ফলে দলটি দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা নিয়ে আর কোনও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আপিল বিভাগে দলটির পক্ষ থেকে আপিল আবেদন থাকায় এতদিন নিবন্ধন বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি কমিশন। সম্প্রতি, কমিশন মনে করেছে, আপিল আবেদন হলেও তা স্থগিত না থাকায় হাই কোর্টের রায় প্রতিপালনে কোনও বাধা নেই, তাই দলটির নিবন্ধন বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ইসির সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেন, হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাওয়া গেছে। ওই রায়ের প্রতিপালন করতেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আপিল বিভাগের কোনও নির্দেশনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপিল বিভাগ থেকে আমরা ইনফরমেশন স্লিপের মাধ্যমে অ্যাডভোকেটের প্রত্যায়নপত্র নিয়েছি। দেয়ার ইজ নো স্টে অর্ডার। আপিল বিভাগের কোনও স্থগিতাদেশ নেই।

Advertisement

[ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন হাসিনা, ঘোষণা আওয়ামি লিগের]

গত সপ্তাহে হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি সংগ্রহ করে ইসির আইন শাখা। ওই রায়ের ভিত্তিতেই জামাতের নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করার অনুমোদন চেয়ে কমিশনে ফাইল তোলা হয়। এরপরই তা অনুমোদন করে গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারি মুদ্রণালয়ে পাঠানো হয়। কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমদের স্বাক্ষর করা গেজেটে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (Representation of the people order, 1972) আওতায় রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য ওই আদেশের অনুচ্ছেদ ৯০এইচ (Article 90H)-এর শর্তানুযায়ী বাংলাদেশ জামাতে ইসলামি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল (নিবন্ধন নং ০১৪; তারিখ ৪.১১.২০০৮); যেহেতু মহামান্য হাই কোর্ট বিভাগে দায়ের করা রিট পিটিশনের [নং ০৬৩ (২০০৯)] রায়ে মহামান্য আদালত বাংলাদেশ জামাতে ইসলামির নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন; এখন সেহেতু মহামান্য হাই কোর্ট বিভাগে দায়ের রিট পিটিশনের [নং ০৬৩ (২০০৯)] রায়ে মহামান্য আদালত বাংলাদেশ জামাতে ইসলামির নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করায় সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের অনুচ্ছেদ ৯০ এইচের সাব ক্লজ (৪) [Representation of the people order, 1972 (as amended up to date)-এর Article 90H-এর Sub Clause (4)] অনুযায়ী বাংলাদেশ জামাতে ইসলামির (নিবন্ধন নং ০১৪; তারিখ ৪.১১.২০০৮) নিবন্ধন বাতিল করা হইল।’

[দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের জেল খালেদার, আরও বিপাকে বিএনপি]

ইসির সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামাতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট আবেদন করেন তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী-সহ ২৫ ব্যক্তি। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৫ জানুয়ারি হাই কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুল জারি করে। এরপর ২০১৩ সালে বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামাতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement