সুকুমার সরকার, ঢাকা: আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এবার ভোটগ্রহণের সময় রোহিঙ্গাদের শিবির ছেড়ে বেরিয়ে আসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে শরণার্থী ক্যাম্পগুলিতে। আগেই রোহিঙ্গাদের জঙ্গিযোগ ও নির্বাচন চলাকালীন জঙ্গি হামলার সতর্কবার্তা জারি করেছে গোয়েন্দা বিভাগ।
[ভোটের আগে পুলিশ কর্তাদের খুনের চক্রান্ত হচ্ছে, বিস্ফোরক অভিযোগ হাসিনার]
নয়া নির্দেশিকায় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটগ্রহণের একদিন আগে ও পরে রোহিঙ্গারা শিবির ছেড়ে বের হতে পারবেন না। এই মর্মে শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে একটি চিঠিও পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মহম্মদ আবুল কালাম জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নির্বাচনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ব্যবহার করা হতে পারে। ফলে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে শরণার্থী শিবিরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে শুধু চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনও কারণে আশ্রয় শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের বের হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন। রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে আগে আনসার বাহিনী নিয়োজিত থাকলেও এখন পুলিশ, র্যাব এমনকি বিজিবিও টহল দিচ্ছে। টেকনাফের এক জনপ্রতিনিধি জানান, এর আগে স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দিতে এসে কয়েকজন রোহিঙ্গা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিল। নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত অফিসার আবদুর রব জানান, প্রতিদিন রোহিঙ্গা শিবিরে যৌথবাহিনীর তিনটি দল টহল দিচ্ছে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলিতেও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রয়োজনে নির্বাচনের সময় ক্যাম্প থেকে কোনও রোহিঙ্গাকে বের হতে দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করছে জেহাদিরা, আগেই এমনটা জানিয়েছিল সে দেশের গোয়েন্দা বিভাগ। এদিকে বিএনপি-আইএসআই আঁতাঁতে নাশকতার আশঙ্কাও রয়েছে শাসক শিবিরে। তাই রোহিঙ্গা শিবিরে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা বলেই মনে করা হচ্ছে। চলতি মাসের ৩০ তারিখ ভোটযুদ্ধ বাংলাদেশে। ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলেছে শাসক আওয়ামি লিগ ও বিরোধী বিএনপি শিবির৷
[নির্বাচনী ইস্তেহারে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি আওয়ামি লিগের]
The post বাংলাদেশে নির্বাচন চলাকালীন ‘গৃহবন্দি’ রোহিঙ্গা শরণার্থীরা appeared first on Sangbad Pratidin.