সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে আছড়ে পড়েছে করোনা (Corona Virus) সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। এপর্যন্ত বিধিনিষেধ থাকলেও কিছুটা ছাড় দিয়েছিল হাসিনা প্রশাসন। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। তাই এবার মানুষের জীবন বাঁচাতে রাজধানী ঢাকা-সহ গোটা বাংলাদেশ জুড়ে চলছে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন। এবং বিধিনিষেধ বলবৎ করতে রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
[আরও পড়ুন: হাসিনার ‘আম কূটনীতি’, ভুটানের রাজার জন্য ফল পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী]
প্রশাসন সূত্রে খবর, মূলত করোনার ডেল্টা স্ট্রেনের জন্যই বাংলাদেশে লাগামছাড়া হয়েছে সংক্রমণের গতি। গত এক সপ্তাহ ধরে গড়ে প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে একশোজনের ও বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীর। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশজুড়ে ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত সকল সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ করে লকডাউন ঘোষণা করে নির্দেশিকা জারি করা হয়। বুধবার অর্থাৎ গতকাল মানুষের সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়।
এদিকে, লকডাউন চলাকালীন বিনা কারণে ঘর থেকে বাইরে বের হলে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মহম্মদ শফিকুল ইসলাম। লকডাউনে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে খাবারের দোকান ও রেস্তরাঁ। তবে, কেউ রেস্তরাঁয় বসে খাবার খেতে পারবেন না। শুধুমাত্র অনলাইন অর্ডার ও টেক অ্যাওয়ে সেবা চালু থাকবে। বিধিনিষেধের মধ্যেও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল চালু থাকবে এবং বিদেশগামী যাত্রীরা তাঁদের টিকিট দেখিয়ে গাড়ি ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন। তবে বন্ধ থাকবে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বলেছেন, “এবার লকডাউন ভঙ্গ করে বাইরে বের হলে আইনি পদক্ষেপের সম্মুখীন হতে হবে। রিকশা ব্যবহার করা গেলেও কোনো ইঞ্জিনচালিত যানবাহন ব্যবহার করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া মাঠে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এবারে আমরা প্রথমবারের মতো ২৬৯ ধারায় মামলা করতে যাচ্ছি, যারা বিনা কারণে বাইরে বের হবেন। এরপর তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হবে।” এই আইনে মামলা হলে ন্যূনতম ৬ মাসের জেল ও জরিমানা হতে পারে বলে জানান তিনি।