সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের ধানখেতে ফুটে উঠল বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতি! জাতির জনককে অভিনব কায়দায় শ্রদ্ধা জানিয়ে এবার বিশ্ব রেকর্ড গড়তে চলেছে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’।
[আরও পড়ুন: শাকিব কালীপুজোয় যাবে না মসজিদে, এটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার: বাংলাদেশের হাই কোর্ট]
শুনতে অবাক লাগলেও বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ফসলের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর মুখাবয়ব ফুটিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিতে চলেছে পরিষদ। এই পরিষদের আহ্বায়ক আওয়ামি লিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম। মঙ্গলবার, ১০০ বিঘা আয়তনের ধানখেতে ফুটিয়ে তোলা ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ প্রতিকৃতিটি পরিদর্শন করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রতিনিধিরা। ওই দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, শস্যখেতের বিশাল ‘ক্যানভাসে’ ফুটিয়ে তোলা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নান্দনিক প্রতিকৃতিটি বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে এর স্বীকৃতি মিলবে। শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের সচিব এবং ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ক্রপ মোজাইক ফিল্ড ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ইতিমধ্যেই ব্রিটেন, জাপান, ভারতের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে চিন। তবে কোনও দেশই শস্যচিত্রে জাতির জনককে তুলে ধরতে পারেনি। গিনেস বুকে নাম লেখানোর মাধ্যমে অনন্য ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ।
জানা গিয়েছে, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের দুই সদস্য হলেন শের-ই
বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক কামালউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক এমদাদুল হক চৌধুরী। তাঁরা মঙ্গলবার বগুড়ার শেরপুরে আমিনপুর মাঠে প্রতিকৃতি পরিদর্শন শেষে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বর্তমানে চিনের ৭০ বিঘার শস্যচিত্রের রেকর্ড ভাঙার ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, এর আগেই শস্যখেতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলেন এক কৃষক। গত ডিসেম্বর মাসে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঈশ্বরগঞ্জে নিজের জমিতে লাল শাক ও সরষে খেতের মধ্যে এই প্রতিকৃতি আঁকেন আবদুল কাদির নামের এক চাষী। শুধু বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নয়, স্মৃতিসৌধ, নৌকো, শাপলার প্রতিকৃতি ও মুজিব শতবর্ষ লেখা ফুটিয়ে তুলেছিলেন ওই কৃষক।