সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারতের প্রশংসা করে বিপাকে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছে যে তিনি গদি খোয়াতে পারেন। এহেন ডামাডোলে জল্পনা আরও বাড়িয়ে আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক তথা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেছেন যে, মোমেনের মন্ত্রিত্ব থাকবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার কেবলই প্রধানমন্ত্রীর।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে আকস্মিকভাবেই বাদ পড়েন বিদেশমন্ত্রী মোমেন (AK Abdul Momen)। যদিও কূটনৈতিক স্তরে এনিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি, তবে মোমেনের অনুপস্থিতি জল্পনা উসকে দিয়েছে। বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সম্মেলনে এই বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, “বিদেশমন্ত্রী সব সময় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন এমন কোনও কথা নেই। নরেন্দ্র মোদি এসেছেন, তখন কি (ভারতের) বিদেশমন্ত্রী সঙ্গে ছিলেন? বিদেশমন্ত্রীও তো মানুষ, একজন মানুষ অসুস্থও হতে পারেন।”
[আরও পড়ুন: ‘তিস্তার জল না পেলে ইলিশও দেব না’, ঠাট্টার ছলে মমতাকে বার্তা হাসিনার!]
এদিন ভারত নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের কারণে মোমেনকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে কি না? এই প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, “তাঁর (মোমেন) বাড়ি থেকে শুনেছি তিনি কিছুটা অসুস্থ। এটা হতেই পারে। এখন এজন্য তাঁর কোনও পরিবর্তন… কিছুদিন আগে তাঁর হয়ত একটা স্লিপ হয়েছে, কথাবার্তা বলায়, সেটার জন্য তার মন্ত্রিত্ব চলে যাবে কি না, এটা বলার এক্তিয়ার তো আমার নেই। এই এক্তিয়ার প্রধানমন্ত্রীর, তিনি চাইলে বাদ দিতে পারেন। এ বিষয়ে অন্য কারও কিছু বলার নেই, বললে সেটা হবে অতি কথন।”
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে বন্দরনগর চট্টগ্রামে জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছিলেন, “শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, ভারত সরকারকে সেটা করার অনুরোধ করেছি। আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) আমাদের আদর্শ। তাঁকে টিকিয়ে রাখতে পারলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে এবং সত্যিকারের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক একটা দেশ হবে।” তাঁর এই মন্তব্যের পরই দেশজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক।