সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। জেলের কয়েদিদের মধ্যেও শিকড় জমিয়েছে মারণ জীবাণু। এহেন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে ২০ দিনে ভিডিও কনফারেন্সের ম্যাধ্যমে ৬০ হাজার ৩৮৯টি জামিন আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়েছে দেশের আদালতে। সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে জেলে ভিড় কমাতে ৩৩ হাজার ১৫৫ বিচারাধীন বন্দির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনার বলি ১০৪৯, আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৭৮ হাজারের গণ্ডি]
করোনা মহামারীর আবহে পরিস্থিতি সামাল দিতে ৯ মে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ শিরোনামে অধ্যাদেশ জারি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। ফলে অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভারচুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনার সুযোগ তৈরি হয়। অধ্যাদেশ জারির পর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে এই বিষয়ে প্র্যাকটিস নির্দেশনা (ব্যবহারিক দিকনির্দেশনা) প্রকাশ করা হয়। ১১ মে থেকে আদালতে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে কার্যক্রম শুরু হয়, যার মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগের ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায়ের যাত্রা শুরু হয়। তারপরই কম গুরুতর মামলায় বিচারাধীন বন্দিদের আবেদন মঞ্জুর করে তাঁদের জামিন দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সম্পূর্ণ লকডাউন চেয়ে সম্প্রতি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক আইনজীবী। এছাড়া চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত হাইফ্রোনেজাল অক্সিজেন ক্যানুলা সংগ্রহের নির্দেশ চেয়েও দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার ঢাকা হাই কোর্টের ভারচুয়াল আদালতে এই জনস্বার্থ মামলা করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণে ঢাকা শহরে হাজার হাজার রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। ইতিমধ্যে এক হাজারের বেশি মানুষ মারাও গিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: বাড়ছে সংক্রমণ, করোনা রুখতে বাংলাদেশে হাজির চিনের ১০ সদস্যের চিকিৎসকদের দল]
The post কয়েদখানায় করোনার থাবা, ৩৩ হাজার বিচারাধীন বন্দির জামিন মঞ্জুর বাংলাদেশে appeared first on Sangbad Pratidin.