সুকুমার সরকার, ঢাকা: সম্প্রতি কলকাতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিন জেএমবি (JMB) জঙ্গিকে। জেহাদি নেটওয়ার্ক গুঁড়িয়ে দিতে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। এর মাঝেই বাংলাদেশে ফাঁসি দেওয়া হল কুখ্যাত জামাত জঙ্গি আসাদুজ্জামান পনিরকে।
[আরও পড়ুন: পরকীয়ার ‘সাজা’, ঘর ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে গিয়ে গণধর্ষিত বাংলাদেশি গৃহবধূ]
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী ঢাকার অদূরে ভাওয়াল বর্তমানে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে রাত ১১টা নাগাদ নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জেএমবির অন্যতম নেতা পনিরের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ি থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসাদুজ্জামানের মরদেহ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নেত্রকোনা জেলাসদর থানায় করা একটি মামলায় আদালত ওই জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া পনিরের বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা ছিল। নেত্রকোনা থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরেকটি মামলায় তাঁর ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলায় তাকে আরও মোট ৩০ বছরের কারাদণ্ডও দিয়েছিল আদালত। এদিকে নব্য জেএমবির কথিত আমির মাহাদি হাসান ওরফে আবু আব্বাস আল বাঙ্গালি স্লিপার সেলের মাধ্যমে নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কলকাতায় পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের হাতে গ্রেপ্তার হয় জেএমবি জঙ্গি নেতা আল আমিনের সাগরেদ নাজিউর, রবিউল ও সাবির। এরা সকলেই বাংলাদেশের বাসিন্দা। ধৃত তিন জঙ্গি স্লিপার সেলকে ফের সক্রিয় করে তোলার কাজের ভার নিয়ে কলকাতায় গিয়েছিল তারা। সব মিলিয়ে দুই বাংলায় ক্রমে জেহাদের জাল ছড়াচ্ছে সন্ত্রাসবাদীরা। তবে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh) নিরাপত্তা বাহিনী। যার ফলে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি।এবার পনিরের মৃত্যুতে আরও বড় ঢাকা খেল জেএমবি বলেই মত বিশ্লেষকদের।