সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (US Presidential Election 2020) । ছোট থেকে মাঝারি, বড় – সমস্ত দেশেরই নজর থাকে এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার দিকে। চলতি বছর কোভিড পরিস্থিতিতে নজিরবিহীনভাবে আমেরিকায় চলছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্ব। ফলে এবার তার গুরুত্ব আরও খানিকটা বেড়েছে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেরও (Bangladesh) কড়া নজর রয়েছে ট্রাম্প বনাম বিডেনের লড়াইয়ের দিকে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামি লিগ থেকে বিরোধী বিএনপি এবং অন্যান্য ইসলামিক দলগুলি কে কীভাবে দেখছে এই নির্বাচনকে? তারই কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেল।
ট্রাম্প-বিডেনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামি লিগ (Awami League) অতি সাবধানী। আওয়ামি লিগের এক নেত্রীর মতে, বন্ধুত্বই আসল কথা। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনিই হোন, তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্কের কোনও ঘাটতি হবে না। তবে বিশ্ব রাজনীতির অংশ হিসেবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামি লিগের প্রত্যাশাও কিছু আছে। সেসব যদিও বিস্তারিতভাবে এখনই তারা প্রকাশ করেনি।
[আরও পড়ুন: বিতর্কিত কার্টুন নিয়ে গুজবের জেরে বাংলাদেশের কুমিল্লায় ভাঙচুর একাধিক হিন্দুর বাড়ি]
এদিকে, বিরোধী বিএনপি’র (BNP)প্রত্যাশা, নতুন মার্কিন প্রশাসন যেন বিশ্বে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আরও সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করে। দলের এক নেতার মতে, গত কয়েক বছর এই দুটি বিষয়ে আমেরিকার মতো শক্তিধর দেশ বিশেষ কোনও ভূমিকা নেয়নি। কিন্তু নতুন সরকার তাতে জোর দেবেন, তেমনই আশা করেন তাঁরা। আসলে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেন নিজে উদারপন্থী, মানবাধিকার নিয়ে কাজকর্মে বিশ্বাসী বলে পরিচিত। বিএনপি’র মনোভাব থেকে কিছুটা স্পষ্ট যে তারা নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিডেনকে আশা করলেন।
[আরও পড়ুন: পরীক্ষা বাতিল, কীভাবে পাশ করবে বাংলাদেশের পড়ুয়ারা? ঘোষিত মূল্যায়ণ পদ্ধতি]
ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলির নজর আবার কিছুটা ভিন্ন। নতুন মার্কিন প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির প্রতি কী নীতি গ্রহণ করে, তার উপর নির্ভর করছে তাঁদের প্রত্যাশা। ইসলামি আন্দোলন নামে রাজনৈতিক দলের নেতার মতে, যুদ্ধ কিংবা অশান্ত সৃষ্টিতে যেন মদত না দেয় আমেরিকার নতুন প্রশাসন, সেটুকুই তাঁদের প্রত্যাশা। যদিও জামাত-এ-ইসলামির মতো সংগঠনের মত ভিন্ন। তাঁদের মতে, আমেরিকা সর্বদাই বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর চেষ্টা করেছে। নতুন প্রেসিডেন্ট সেই নীতি থেকে সরে আসবেন বলে তাঁরা মনে করেন না। আর সেখানেই আপত্তি জামাতের। এতে তাঁদের নিজেদের অবস্থানও টালমাটাল হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন। সবমিলিয়ে, ট্রাম্প-বিডেনের মধ্যে শেষ হাসি কে হাসে, সেদিকে তাকিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্ত দল।